সেলিম-রোজি দম্পতি করোনায় আক্রান্ত, বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন
করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারকা দম্পতি শহীদুজ্জামান সেলিম ও রোজী সিদ্দিকী। গত মাসের শেষের দিকে কিছুটা জ্বর, ঠান্ডা ও হাচি–কাঁশি ছিল অভিনেত্রী রোজী সিদ্দিকীর। ১ এপ্রিল কিছুটা অসুস্থতা অনুভব করেন শহীদুজ্জামান সেলিমও। অসুস্থতা বাড়তে থাকলে পরের দিন তাঁরা দুজনেই ঢাকার একটি হাসপাতালে করোনার নমুনা পরীক্ষা করান। ফলাফল আসে তাঁরা করোনা পজিটিভ। এখন তাঁরা চিকিৎসকদের পরামর্শে বাসাতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আজ বেলা ৩টার দিকে কথা হয় অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিমের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রথম দিকে আমার স্ত্রী রোজীর (রোজী সিদ্দকী) শরীর বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাঁর শ্বাসকষ্ট ও কাশি হওয়ায় কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। দেরি না করে করোনা পরীক্ষা করিয়ে জানতে পারি, আমরা করোনায় আক্রান্ত। এখন রোজী আগের চেয়ে অনেকটা ভালো আছে। তবে তাঁর হালকা ঠান্ডা-জ্বর ও শারীরিক দুর্বলতা আছে। করোনায় আক্রান্ত জানার পর থেকে আমরা নিয়মিত চিকিৎসা ও ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলছি। বাসা থেকে একদমই বের হচ্ছি না। খাবার খাওয়ার ব্যাপারেও সচেতন আছি।’
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে এই অভিনেতা বলেন, ‘ডাক্তার বলেছেন, বাসায় বসে ঠিকমতো প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করলেই হবে। এর মধ্যে যদি কোনো জটিলতা দেখা দেয়, তাহলে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে যেতে হবে। এ নিয়ে চিন্তা করতে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বাভাবিক খাবার ও প্রোটিন বেশি খেতে বলেছেন।’
বর্তমানে এই অভিনেতার এখন তেমন কোনো শারীরিক জটিলতা নেই। হালকা শরীর দুর্বল। তবে সুস্থ হওয়ার পথে। তিনি জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। শুটিং বা ব্যক্তিগত কোনো কাজে গেলে তিনি সব সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। কীভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তা বুঝতে পারছেন না। করোনায় আক্রান্ত জানার পর থেকেই তিনি ও তাঁর স্ত্রী একাধিক ঈদের নাটক ও ধারাবাহিক নাটকের শুটিং বাতিল করেছেন।
সেলিম বলেন, ‘এখন দেশে করোনা সংক্রমণের জন্য লকডাউন চলছে। অনুরোধ করব, জরুরি না হলে শুটিং করবেন না। শুটিংয়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। যাঁরা শুটিং করবেন, অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শুটিং শুরু ও শেষ করবেন। আমাদের নাটকের চারটি সংগঠন থেকে করোনাকালীন শুটিংয়ের নীতিমালা দেওয়া আছে। শুটিংয়ে এগুলো অবশ্যই মেনে চলবেন।’