ঢালিউড তারকা বিদ্যা সিনহা মিমের মামাবাড়ি রাজশাহীতে। শারদীয় দুর্গোৎসবটি তিনি কাটান সেখানেই, বাঘার নারায়ণপুরে। করোনা মহামারির কারণে এবার আর সেখানে যাওয়া হচ্ছে না মিমের। কেননা সেখানে গেলেই বহু মানুষ দেখা করতে আসেন তাঁর সঙ্গে। করোনায় নিরাপত্তার কথা ভেবে আর এ বছর সেখানে যাচ্ছেন না মিম।
মিমের মতো অনেক তারকারই এ বছরের দুর্গোৎসবটি হবে অনেকটাই নিরানন্দ। কেউ উৎসবটি উদযাপন করবেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে, কারও সময় কাটবে বাসায়। সুযোগ পেলে অবশ্য কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢুঁ মারবেন পূজামণ্ডপে। মিমেরও সে রকম ইচ্ছা। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় মা-বাবাকে নিয়ে থাকেন তিনি। বাসার আশপাশের কোনো মণ্ডপে প্রতিমা দেখতে যাবেন এই তারকা।
পূজা উদযাপনে নানা চিন্তাভাবনা ও চলাফেরার সীমা থাকলেও নতুন জামাকাপড় কেনার ক্ষেত্রে সে রকম ছিল না। পূজা উপলক্ষে একগাদা শাড়ি ও জামা পেয়েছেন তিনি। এমনকি মাকে পূজার কাপড় কিনে দেওয়ার জন্য বের হয়েছিলেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মাকে নিয়ে পূজার পোশাক কিনতে ঢাকার একটি বিপণিবিতানে ঢুকেছিলেন এই অভিনেত্রী। মিম বলেন, ‘এবারই প্রথম আমি কিছুই কিনিনি। তবে অনেক উপহার পেয়েছি। মা-বাবা ও আত্মীয়দের উপহার দিয়েছি। বাবার জন্য কিনেছি পাঞ্জাবি আর ওভারকোট।’
আমার যাওয়ার খবরে আশপাশ থেকে অনেকেই আসেন। ছবি তোলেন, কথা বলেন, কেউ আবার ছুঁয়ে দেখেন। নিজের খুব চেনা সেই জায়গাকে তখন নতুন মনে হয়।
ছোটবেলার পূজার আনন্দ মিমের কাছে ছিল অন্য রকম। শিক্ষক বাবার চাকরিসূত্রে অনেক দিন কুমিল্লায় ছিলেন তাঁরা। সে সময়কার পূজার স্মৃতি মনে করে মিম বলেন, ‘কুমিল্লায় আমরা যেখানে থাকতাম, বাসা থেকে মন্দির পর্যন্ত প্রচুর লাইটিং করা হতো। প্রতিদিনই মণ্ডপে যেতাম। কত আনন্দ ছিল। সমবয়সী সবার সঙ্গে এদিক-সেদিক দৌড়াদৌড়ি করতাম। পূজা উপলক্ষে মেলা বসত, পছন্দের জিনিস কেনার জন্য মা–বাবার কাছে বায়না ধরতাম।’ ছোটবেলার পূজার আনন্দ এখন খুব মিস করেন তিনি।
তারকাখ্যাতি পাওয়ার পর সেই আনন্দ আরও কমে গেছে। অভিনয় শুরু করার পর পূজায় পরিবারের সবাই মিলে রাজশাহীতে মামাবাড়িতে যান তিনি। এ সময় অনেক আত্মীয়স্বজন ও পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়। মিমের দাদাবাড়িও রাজশাহীতে।
মিম বললেন, ‘বছরের বিভিন্ন সময়ে যে যার মতো করে বাড়িতে যায়। কিন্তু পূজার সময় পরিবারের সবাই একসঙ্গে বাড়িতে আসে। অনেক দিন যাদের সঙ্গে দেখা হয় না, সে সময় তাদের সঙ্গে দেখা হয়। কয়েকটা দিন যে কীভাবে পার হয়ে যায়, তা টেরই পাই না।’
করোনার কারণে এবার সেটা হচ্ছে না। মামাবাড়ির পূজার স্মৃতি মনে করে মিম বলেন, ‘মামাবাড়িতে পূজার আয়োজন হয়। পূজার সময় বেড়াতে আসা অতিথিরা কয়েক বছর ধরে আমাকেও দেখতে আসেন। এটা ভালো লাগে। এই ভালোবাসা অমূল্য।’ নারায়ণপুরে মামাবাড়িতে বছর তিনেক আগের এক পূজার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে মিম বলেন, ‘পূজার এক বিকেলে মামাবাড়ির আশপাশের কয়েকটি মণ্ডপে ঘুরতে বের হই। আমার যাওয়ার খবরে আশপাশ থেকে অনেকেই আসেন। ছবি তোলেন, কথা বলেন, কেউ আবার ছুঁয়ে দেখেন। নিজের খুব চেনা সেই জায়গাকে তখন নতুন মনে হয়।’