শরীরটা বিদেশে থাকে ঠিকই কিন্তু মনটা শুটিংয়ে পড়ে থাকে
সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন ছোট পর্দার অভিনয়শিল্পী চিত্রলেখা গুহ। দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরেই তিনি আবার শুটিংয়ে নিয়মিত হয়েছেন। সম্প্রতি বেশ কিছু অভিনয়শিল্পী বিদেশে স্থায়ী হচ্ছেন। যে কারণে দেশে ও বিদেশে যাওয়া–আসার মধ্যে থাকেন তাঁরা। ‘আপনিও বিদেশে স্থায়ী হচ্ছেন কি না’ প্রশ্নে হাসলেন এই অভিনেত্রী।
তাহলে বিদেশে স্থায়ী হচ্ছেন? জবাবে এই অভিনয়শিল্পী বলেন, ‘না না। তেমন কিছু নয়। বেশ কিছুদিন থেকেছি। এ জন্য কেউ কেউ এটা মনে করতে পারেন। কিন্তু বিদেশে স্থায়ী হচ্ছি বললে অসুবিধা কোথায়? যখন যাব, তখন জানিয়েই যাব। আপাতত বিদেশে স্থায়ী হওয়ার মতো কোনো কিছু মাথায় নেই। আমাদের কত দায়বদ্ধতা, কত কাজ এখন। যত দিন সুস্থ থাকি, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে চাই। আমার সারা পৃথিবী ঘোরার ইচ্ছা। বিদেশে মেয়েদের পড়তে পাঠিয়েছি। তারা যেন ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারে, এ জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’
গত বছরই তাঁর দেশে ফেরার কথা ছিল কিন্তু ফিরতে দেরি হয়ে যায়। এই অভিনেত্রী বলেন, ‘বিদেশে যাওয়ার পর আমার সমস্যা হয়ে গিয়েছিল। এ জন্য নভেম্বরে দেশে ফিরতে পারিনি। পরে মেয়েরা বলল, এসেছ যেহেতু, এখানকার ক্রিসমাসটা দেখে যাও। তখন মনে হলো, আরও কিছুটা সময় মেয়েদের দিই। কারণ, করোনার মধ্যে খুবই কম শুটিং করছিলাম। ক্রিসমাস শেষে যখন আসব, তখন স্বামী উত্তম গুহের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। যদিও পরে জানতে পারি, ওর করোনা হয়নি। পরে ফিরতে আরও এক মাস দেরি হয়ে যায়।’
গতকাল শুক্রবার থেকে ‘মি. বুদ্ধিমান’ নাটকের মাধ্যমে শুটিংয়ে ফিরেছেন তিনি। অংশ নেবেন ‘বউ বিরোধ’, ‘মাশরাফি জুনিয়র’সহ বেশ কিছু ধারাবাহিক নাটকে। শুটিংয়ে ফিরে তিনি বলেন, ‘বাইরে মন টেকে না। সন্তানদের দেখে প্রথম দু–এক মাস ভালোই লাগে। এরপর শরীরটা বিদেশে থাকে ঠিকই কিন্তু মনটা শুটিংয়ে পড়ে থাকে। আমরা স্বামী–স্ত্রী গিয়েছিলাম। আমার স্বামী উত্তম গুহ আর্ট ডিরেক্টর। সে বিদেশে বসেই সরকারি অনুদানের “ক্ষমা নেই” সিনেমার সেট ডিজাইনের কাজ করেছে। পরে দেশে ফেরার পরদিন টুঙ্গিপাড়ায় শুটিংয়ে গিয়েছে। আমি একটু সময় নিয়ে ফিরলাম।’