যেভাবে বুলিং মোকাবিলা করেন সাফা কবির

২০১৯ সালে ফেসবুকে ভয়াবহ বুলিংয়ের শিকার হয়েছিলেন সাফা কবির। হতবাক এই টিভি তারকার মনে তখন প্রশ্ন জাগে, আমি তাঁদের সঙ্গে কী অন্যায় করেছি? একেবারে অচেনা একজন মানুষ কীভাবে একজন অভিনয়শিল্পীকে আর তাঁর মা–বাবাকে নিয়ে ফেসবুকের মতো উন্মুক্ত পরিসরে এমন কুরুচিপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করতে পারে!

ভিডিও ব্লগার হয়ে গেছেন সাফা কবির। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

সাফা বলেন, ‘আমার ভীষণ অভিমান হয়েছিল তখন। আমার নামের সঙ্গে কবির আছে বলে, জন কবির ভাইকে আমার পরিবারের সদস্য বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অন্য যাদের নামের সঙ্গে কবির আছে, তাদেরও আমার পরিবারের সদস্য বানিয়ে দেওয়া হলো! মজা করার জন্য এমন অসুস্থ কাণ্ড কেউ করতে পারে এটা আমি ভাবতেও পারি না।’ সাফা মনে করেন, বুলিং যারা করে, তাদের অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা সাইবার বুলিংবিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মসূচি নিয়মিত করতে পারে। ছয় মাস বা এক বছর পর সুফল পাওয়া যাবে।’

সাফা কবির
ইনস্টাগ্রাম

বুলিংয়ের ক্ষত কীভাবে সারিয়ে ওঠেন? আজ সাইবার বুলিং প্রতিরোধ দিবসে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাফা বলেন, ‘আমার অভিনয় অনেক মানুষ ভালোবাসেন। এ রকম অনেকেই নিজের জীবনের মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমাকে নিয়ে ভালো ভালো কথা লেখেন। এগুলোই আমাকে বুলিংয়ের ক্ষত থেকে সারিয়ে তুলতে সহযোগিতা করে। নেতিবাচক মন্তব্যগুলো এড়িয়ে ইতিবাচকগুলো থেকে অনুপ্রাণিত হতে চেষ্টা করি।’

সাফা কবির
ইনস্টাগ্রাম

শিগগিরই ঈদের নাটকের শুটিং শুরু করবেন সাফা। জানালেন, আসছে সপ্তাহে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি নতুন রেসিপির ভিডিও প্রকাশ করবেন তিনি। কিসের রেসিপি? হেসে ফেললেন সাফা, ‘আমের কেক।’