যে নাটকের সবাই যমজ
যমজ চরিত্র নিয়ে আগেও নাটক করেছেন আজাদ কালাম। মোশাররফ করিমকে নিয়ে তাঁর বানানো যমজ তো কাল্ট হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত সিরিজটির ১৪টি খণ্ড তৈরি হয়েছে। তবে এসব নাটকে সর্বোচ্চ যমজ চরিত্র ছিল দুটি কি তিনটি। কিন্তু এবার যমজ চরিত্রে একসঙ্গে ১৮ অভিনয়শিল্পীকে নিয়ে মাঠে নেমেছেন আজাদ কালাম। নাটকের নাম টুইন ভিলেজ। বুঝতেই পারছেন, যাকে বলে একগ্রাম যমজ। এমন বিচিত্র আইডিয়া কোথায় পেলেন?
এ প্রশ্নের জবাবে পরিচালক বলেন, ‘বিবিসিতে একটি প্রতিবেদন দেখে আইডিয়াটা মাথায় আসে। পরে ব্রাজিলের একটি গ্রামে একাধিক যমজ পরিবারের খবর জানতে পারি। সেখানে একটি পরিবারের সবাই যমজ। এমনকি একটি গ্রামের প্রায় সবাই যমজ। অনলাইন ঘাঁটাঘাঁটি করে জানতে পেরেছি, এমন গ্রাম আর্জেন্টিনা, চিলি, ভারতের কেরালাতেও আছে। এরপরই যমজ গ্রাম নিয়ে ধারাবাহিক নাটক নির্মাণের পরিকল্পনা করি।’
বাস্তবতার ছোঁয়া আনতে নাটকটিতে সত্যিকারের ৫০ জন যমজকে কাজে লাগানো হয়েছে। তাঁরা এক্সট্রা হিসেবে অভিনয় করেছেন। আজাদ কালাম বলেন, ‘হয়তো রাস্তা বা বাইরের কোনো দৃশ্য, পাশ দিয়ে হেঁটে যাবে দুজন যমজ। হয়তো চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছে আরও কয়েকজন যমজ। এসব কারণেই বিভিন্ন জেলা থেকে ২৫ জোড়া যমজ খুঁজে বের করতে হয়েছে। একসঙ্গে এত যমজ নিয়ে শুটিং করতে গিয়ে বিড়ম্বনায়ও পড়েছি। যেখানেই যাই, মানুষ ভিড় করে। পুবাইলের লোকজন কিন্তু শুটিং দেখে অভ্যস্ত। মোশাররফ করিম, জাহিদ হাসানকে নিয়ে শুটিং করলেও স্থানীয় মানুষ এখন আর ভিড় করে না। কিন্তু এত যমজ দেখে অসংখ্য মানুষ এসে ভিড় করেছে, সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে।’
টুইন ভিলেজ-এ গুরুত্বপূর্ণ এক জোড়া যমজ চরিত্র করছেন আনিসুর রহমান মিলন। একটা চরিত্র শহর থেকে গ্রামে ফেরা এক যুবক, অপরজন গ্রামেই থাকে। এ ধরনের চরিত্রে এটা তাঁর দ্বিতীয় কাজ। এর আগে অলসপুর ধারাবাহিকে যমজ চরিত্র করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘অনেক আনন্দ নিয়ে নাটকটি করেছি। সবাই যেহেতু যমজ। দৃশ্যধারণে যাওয়ার সময় প্রতিবার সহ-অভিনেতা কোন যমজ চরিত্রটি করছেন, জেনে নিতে হয়েছে। তা ছাড়া একসঙ্গে দুটি মজার চরিত্র করে ভালো লেগেছে।’ নাটকে আরও অভিনয় করেছেন রহমত আলী, চিত্রলেখা গুহ, প্রাণ রায়, শারমীন জোহা শশী, নাদিয়া খানম, শ্যামল মাওলা প্রমুখ।
নির্মাতা জানালেন, নাটকটির প্রথম ২৫ পর্বেই লোকসান গুনতে হবে। কারণ, বাজেটের চেয়ে খরচ বেশি হয়ে গেছে। স্বাভাবিক একটি দৃশ্যের শুটিং করতে যে সময় লাগত, একাধিক যমজ থাকায় এই নাটকে সময় লেগেছে এর দ্বিগুণ। নাটকটি লিখেছেন সুজিত বিশ্বাস, আজাদ কালামসহ তিনজন। এটি গত মঙ্গলবার প্রচার শুরু হয়েছে। রাত ১০টায় সপ্তাহে তিন দিন আরটিভিতে প্রচারিত হবে।