যে কারণে ২২৮ ভোট গুনতে ২১ ঘণ্টা

গতকাল ঠিকমতো শুরু ও শেষ হয়েছে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব)-এর ভোট গ্রহণ
ছবি: সংগৃহীত

গতকাল ঠিকমতো শুরু ও শেষ হয়েছে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব)-এর ভোট গ্রহণ। রাতে শুরু হয় ভোট গণনা। শোনা যাচ্ছিল, ভোট গণনা শেষে রাতেই বিজয়ীদের নাম জানা যাবে। কিন্তু সময় বাড়তে থাকে। আজ রোববার বিকেলে ফলাফল ঘোষণার কথা থাকলেও সেই ফল সন্ধ্যায়ও পাওয়া যায় কি না, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ২২৮টি ভোট গুনতে কেন ২১ ঘণ্টার এই দীর্ঘসূত্রতা।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কামাল বায়োজিদ
ছবি: সংগৃহীত

টেলিপ্যাব-এর ২০২২-২০২৪ মেয়াদের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ২৩৯ জন। এর মধ্যে ২২৮ জন ভোট দিয়েছেন। গতকাল সকাল ১০টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল সাড়ে ৫টায়। রাতে শুরু হয় ভোট গণনা। সর্বশেষ ভোট গণনার কী অবস্থা জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কামাল বায়েজিদ বলেন, ‘ভোট গণনা প্রায় শেষের দিকে। এখন যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে, কোনো ভুল আছে কি না খতিয়ে দেখছি। আমাদের কাজ শেষের দিকে। আশা করছি সন্ধ্যার দিকে ফলাফল ঘোষণা করতে পারব।’

রোকেয়া প্রাচী, সাজু মনতাসির ও অন্যান্যরা
ছবি: সংগৃহীত

২২৮টি ভোট গণনায় এত সময় লাগার কারণ কী? কামাল বায়েজিদ বলেন, ‘ভোট গণনা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হলেও ভোটকে বিতর্কিত না করতে সময় নিচ্ছি।’ কী নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভোটার তালিকা এবং ব্যালট পেপারের মধ্যে কিছুটা গ্যাপ হয়ে গেছে। এমন সমস্যা হবে আমরা বুঝতে পারিনি। নির্বাচনকে স্বচ্ছ করতে একটু ঝামেলাই হয়ে গেছে। এই ত্রুটি ভোট গণনায় কোনো সমস্যা হবে না। যে কারণেই আমরা সময় নিচ্ছি। আমরা ধরে ধরে গণনার কাজ করছি। ন্যূনতম কোনো ভুল যেন না থাকে সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। কোনো জটিলতা যেন না থাকে সেভাবেই ফলাফল ঘোষণা করব। আমরা আশাবাদী, সবাই সুষ্ঠু একটি নির্বাচনের ফল উপহার পাবেন।’

সাজু মুনতাসির ও অন্যান্য ভোটারেরা
ছবি: সংগৃহীত

গতকাল ১৯ মার্চ শিল্পকলা একাডেমিতে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেলের একটিতে সভাপতি ছিলেন মনোয়ার পাঠান ও সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসিরদের প্যানেল। অন্যটি প্যানেলের সভাপতি রোকেয়া প্রাচী ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। দুটি প্যানেল থেকে ২৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ২৩৯ জন।

উল্লেখ্য, এর আগে নির্ধারিত সময়ের পর মনোনয়ন জমা নেওয়াকে কেন্দ্র করে অভিযোগ ওঠে একটি প্যানেলের পক্ষ থেকে। পরে কয়েকজনের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলা। এই ঘটনার জেরে নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে সরে দাঁড়ান মাসুম আজিজ, নরেশ ভূইয়া ও বৃন্দাবন দাস। বাতিল হয় গত ১১ ডিসেম্বরের নির্বাচন। পুনরায় আপিল করলে নির্বাচনের সুযোগ পায় সংগঠনটি।