মাদকদ্রব্য কিনতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের টিভি অভিনেত্রী প্রীতিকা চৌহান। গত রোববার কলকাতার ভারসোবা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছেন নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি)সদস্যরা। মাদকদ্রব্য কেনাবেচার দায়ে এ সময় আরও চারজনকে আটক করেছেন এনসিবির গোয়েন্দারা।
‘সাবধান’, ‘দেবো কে দেব মহাদেব’-এর মতো টিভি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন প্রীতিকা। এনসিবি সূত্রে ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বলিউডের মাদকসম্পৃক্ততার তদন্ত করতে গিয়ে বেশ কিছু মাদকের আখড়ার সন্ধান পেয়েছে তারা। সে রকম এক আখড়া ছিল ভারসোবায়। সাদাপোশাকে ভারসোবার দুটি জায়গাকে নজরদারিতে রেখেছিলেন গোয়েন্দারা। সেখানকার একটি জায়গা থেকে আটক করা হয় প্রীতিকাকে। এই অভিনেত্রীকে আদালতে পাঠিয়ে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে এনসিবি। নিজে সেবনের জন্য, নাকি অন্য কোথাও সরবরাহ করার জন্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করছিলেন, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে সংস্থাটি।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে নেমে বোকা বনে গিয়েছিল এনসিবি। বলিউড যে মাদকে ডুবে ছিল, সেটা ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি সংস্থাটি। ঘটনার জের ধরে জেল খাটতে হয়েছে সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে। একই ঘটনায় এখনো জেলে আছেন রিয়ার ভাই শৌভিকসহ কয়েকজন।
সুশান্তের মৃত্যুর পর তাঁর সম্পদ ও নানা বিষয় নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দাদের হাতে আসে সুশান্তের প্রেমিকা রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ। সেখানে মাদকদ্রব্য নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করছেন রিয়া, যা সন্দেহ বাড়ায় এনসিবির। তদন্তে রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিক, সুশান্তের বাড়ির ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, কর্মী দীপেশ সবন্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাশাপাশি দীপিকা পাড়ুকোন, শ্রদ্ধা কাপুর, সারা আলী খান, রাকুল প্রীতের মতো অভিনেত্রীদেরও জেরা করে।