ব্লক করতে করতে হয়রান নাদিয়া
ফেসবুকে নিয়মিত ছবি পোস্ট করেন অভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদ। সেসব ছবিতে তাঁর মেকআপ–গেটআপ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন অনেকেই। বেশির ভাগ সময় ওই মন্তব্যকারীদের ব্লক করেন তিনি। নাদিয়া মনে করেন, তরুণদের সামাজিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় হয়েছে। নয়তো এ রকম বোধহীন মন্তব্য তারা করতে পারে না। ফেসবুকে এ রকম তরুণদের ব্লক করতে করতে রীতিমতো হয়রান তিনি।
মানুষ বড়দের সম্মান করে। পরিচিত ও অপরিচিত মানুষের সঙ্গে আলাপও আদব মেনে করে। কিন্তু কিছু মানুষের আচরণে আগের মতো ভদ্রতার লেশমাত্র নেই। নাদিয়া বলেন, ‘ফেসবুক চালু হওয়ার পর পরিচিত বা অপরিচিত, যেকারও পোস্টে গিয়ে যেকেউ মন্তব্য করে আসে। ওই মন্তব্যে কারও খারাপ লাগল কি না, তা নিয়ে ভাবে না মন্তব্যকারীরা। ভাবে না যে তাঁর কটু মন্তব্যের কারণে কেউ বিব্রত হতে পারে, যার পোস্টে বা ছবিতে মন্তব্য করছে, তার সারাটা দিন খারাপ যেতে পারে।’ নাদিয়া মনে করেন, পাবলিক ফিগার হলেও বয়সে তিনি অনেকের চেয়ে বড়। মন্তব্য করার সময় অনেকেই সেসব মাথায় রাখে না। সেসব না ভেবেই যে যেভাবে পারছে, মন্তব্য করে যাচ্ছে, যা খুবই বিব্রতকর।
ফেসবুকে নাদিয়া ব্যক্তিগত ছবির পাশাপাশি শুটিংয়ের ছবিও পোস্ট করেন। অভিনেত্রীর ফেসবুকে যুক্ত থাকা অনেকেই সেই ছবিগুলোকে আলাদা করতে পারেন না। এ জন্য প্রতিটি ছবির সঙ্গে তিনি লিখে দেন নাটকের নাম। সেসব ছবিতেও নাদিয়ার ফেসবুক ফ্রেন্ডদের অনেকে আজেবাজে মন্তব্য করে। এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি সম্প্রতি “চাঁদের হাট” ও “মধুপুর” নামে দুটি নাটকের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম। ছবিতে লিখেই দিয়েছি এগুলো নাটকের ছবি। তারপরও এসব ছবিতে মানুষ মন্তব্য করেছে, “মুখে কত আটা মেখেছেন। কত ময়দা মেখেছেন, কত পাউডার মেখেছেন।” আমি যে পেশায় আছি, এখানে প্রতিদিনই আমাকে মেকআপ করতে হয়, মেকডাউন করতে হয়। এসব না বুঝেই আমাকে ছোট করার জন্য তাঁরা এসব মন্তব্য করে। আজকাল তো মানুষ রাস্তাঘাটে বের হলেই মেকআপ করে। এটা তো মানুষের ব্যক্তিগত ব্যাপার।’
অভিনয়ের বাইরে নাদিয়ার ব্যক্তিজীবন একদমই আলাদা। তাঁর ফেসবুকে পরিচিত মানুষের বাইরে তেমন কেউ নেই। শুভাকাঙ্খিদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ফেসবুকে একটি পেজ খুলেছেন তিনি। যদিও কারও বাজে মন্তব্যের পাল্টা জবাব তিনি দেন না। নাদিয়া বলেন, ‘শুধু আমি কেন, কেউ কারও পোস্টে এভাবে খারাপ মন্তব্য করুক, এটা আমি চাই না। আমার নীতি কাউকে বাজে কথা বলব না, কেউ বললে তাঁকে ব্লক করে দেব। জীবনে শান্তি দরকার। চেষ্টা করি মানুষের সঙ্গে ভালোভাবে মিলেমিশে থাকতে। আমি চাই মানুষও আমার সঙ্গে ভালো থাকুক।’
‘মধুপুর’ নামে একটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছেন নাদিয়া। এখানে তাঁর বিপরীতে দেখা যাবে মীর সাব্বিরকে। নাদিয়ার বাবার চরিত্রে অভিনয় করছেন ফজলুর রহমান বাবু। ঘটক চরিত্রের বাবুর প্রতি গ্রামের তরুণদের বিপুল আগ্রহ কেবল পাত্রীর ছবি দেখার জন্য। এ নাটকে একজন শিক্ষকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারুক আহমেদ।