দুই লাইন গল্প শুনেই ‘তাকদির’ করতে রাজি হয়ে যান চঞ্চল
দুই লাইন গল্প শুনেই এত ভালো লেগে যায় যে ‘তাকদির’ করতে রাজি হয়ে যান চঞ্চল চৌধুরী। ‘বড় মঞ্চের তারকা’য় অতিথি হয়ে এসে এই তথ্য জানালেন তিনি। এই ওয়েব সিরিজটি করে পরে দুই বাংলাতেই প্রশংসিত হন অভিনেতা।
‘“তাকদির”–এর প্রস্তাব কীভাবে পেয়েছিলেন?’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপকা পূর্ণিমার এই প্রশ্নের জবাবে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘কোভিডের সময় তো কাজ একদম বন্ধ ছিল। বাসায় বসে থাকতে ভালো লাগত না। মাঝেমধ্যে গোপনে নিকেতনে যেতাম। ভাই-বেরাদরের অফিসে আড্ডা মারতাম। একদিন সুমনের অফিসে গেলাম। সেখানে আড্ডা দিতে দিতে তানিমের সঙ্গে পরিচয়। তানিম নূর একজন পরিচালক। তানিম বলল, আমাদের এক ছোট ভাই শাওকি ওটিটির জন্য একটা গল্প চিন্তা করেছে। দুই লাইনে তানিম আমাকে গল্পটা শোনাল। একটা ফ্রিজার ভ্যানের ড্রাইভার সারা দেশে লাশ নিয়ে যায়। একদিন গ্রামে একটা লাশ রেখে আসার পরও দেখে গাড়িতে আরেকটা লাশ। গল্পটা শুনে বললাম, “স্ক্রিপটা লেখো, আমি করব”।’
আড্ডায় চঞ্চল চৌধুরী আরও বলেন, ‘“তাকদির” করার আরেকটা কারণ ছিল। শেষ দুই বছর ওটিটির গল্প বলার ধরন নিয়ে আমার মধ্যে দ্বন্দ্ব কাজ করছিল। যে ধরনটা আমরাও ফলো করার চেষ্টা করছিলাম। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে যে ধরনের গল্প আসে, সেটা আমাদের সঙ্গে ওইভাবে যায় না। ওটিটির গল্পগুলো আগে কখনোই আমাদের দেশের মনে হতো না। ওগুলো পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে দেখাও যায় না। ওটিটিতে গল্প ছয়, সাত বা আট পর্বের হয়ে থাকে। এ জন্য প্রত্যেক পর্বের শেষে এমন কিছু দিতে হবে, যাতে পরের পর্ব দেখার জন্য আগ্রহ জাগে। আমাদের বাংলাদেশে তো এমন হাজার হাজার গল্প আছে। দরকার হলো বাছাই করা। শুধু কপি করতে করতে আমরা এত দূর চলে এসেছি। আসলে কথাটা হবে, আমরা পিছনে চলে গেছি। আমাদের গল্পেও অনেক কিছু থাকতে পারে না? তৈরির ধরনটা আলাদা হবে। এই গল্প শোনার পর আমার মনে হয়েছে, গল্পটা আমাদের বাংলাদেশের। আমাদের মতোই।’
দেশের সীমানা পেরিয়ে ভিনদেশে নিজেদের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বা ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশের যেসব তারকা, তাঁদের নিয়েই প্রথম আলোর আয়োজন ‘বড় মঞ্চের তারকা’। হাতিল নিবেদিত এ অনুষ্ঠান প্রথম আলোর অনলাইন, ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন দিলারা হানিফ পূর্ণিমা।