ঢাকার টেলিছবিতে কলকাতার শ্রীলেখা
বাংলাদেশের একটি টেলিছবিতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন ভারতের কলকাতার জনপ্রিয় ও আলোচিত অভিনয়শিল্পী শ্রীলেখা মিত্র। ‘দার্জিলিংয়ের ভালোবাসা’ নামের টেলিছবিতে অভিনয়ের জন্য তাঁর সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানালেন পরিচালক রাশেদ রাহা। ভারতের কলকাতার ছোটপর্দা ও বড়পর্দা দুই মাধ্যমে সমানতালে কাজ করেন তিনি।
‘দার্জিলিংয়ের ভালোবাসা’ আগামী ঈদে বাংলাভিশনে প্রচারের জন্য তৈরি হবে। সময় যেহেতু কম, তাই আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে শুটিং শুরুর পরিকল্পনা করছেন পরিচালক।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে শ্রীলেখা মিত্র ঠিকই অভিনয় করেছেন কিন্তু নাটক কিংবা টেলিছবিতে এবারই প্রথম। তবে কলকাতায়ও ৯ বছর ধরে নাটকে কাজ করা হচ্ছে না এই অভিনেত্রীর। কলকাতার নাটক কিংবা টেলিছবিতে কাজ করার ক্ষেত্রে একটা অনীহাও আছে বলা যেতে পারে। কিন্তু সেখানে বাংলাদেশের টেলিছবিতে অভিনয় করতে রাজি হওয়ার কারণটা বললেন এভাবেই, ‘গল্পটা একটু আধুনিক মনে হয়েছে। বাংলাদেশে অসংখ্য ভক্ত-অনুসারী আছেন, যাঁরা আমার কাজ পছন্দ করেন, নিয়মিত মীরাক্কেল দেখেন। আমি টেলিভিশনে কাজ করছি না অনেক দিন। বাংলা ছবিও ওখানে মুক্তি দেওয়া হয় না, বলতে পারেন কৌশলগত কারণেও হ্যাঁ করা। আমি চাইছিলাম, বাংলাদেশের দর্শক একটু আমাকে দেখুক।’
শ্রীলেখা মিত্রের বাবার বাড়ি বাংলাদেশের মাদারীপুর। সময় পেলেই পরিবার নিয়ে বেড়িয়ে যান তিনি। জানালেন, গত বছর বাবাকে নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি। মাদারীপুর গিয়েছিলেন। ঢাকায় এসে উঠেছিলেন আলমগীর ও রুনা লায়লার বাড়িতে। চিত্রনায়ক আলমগীরকে বড় ভাই মনে করেন বলেও জানালেন এই অভিনয়শিল্পী।
‘দার্জিলিংয়ের ভালোবাসা’ টেলিছবিতে কোন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করবেন জানতে চাইলেন শ্রীলেখা মিত্র বলেন, ‘এটা একজন দম্পতির গল্প। এই দম্পতির দাম্পত্যজীবনে মিষ্টি একটা ঘটনা ঘটে, স্থিতিশীলতা আসে-সেখান থেকে গল্পটার মোড় নেয়। বাকিটা দেখে নিতে হবে।’
শ্রীলেখা মিত্র এই গল্পের সঙ্গে কতটা প্রাসঙ্গিক? পরিচালক রাশেদ রাহা বলেন, ‘আমার গল্পের ধরনটা যেমন, সেখানে শ্রীলেখা মিত্রের মতো একজন অভিনয়শিল্পীর প্রয়োজন মনে করেছি। এরপর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি গল্প শুনে পছন্দ করেছেন। তা ছাড়া আমাদের দেশে শ্রীলেখা মিত্রের দর্শক আছে। তাই তাঁকে আমার টেলিছবির জন্য চূড়ান্ত করলাম।’
রাশেদ রাহা পরিচালিত ‘দার্জিলিংয়ের ভালোবাসা’ টেলিছবির গল্প লিখেছেন খায়রুল বাসার। এতে আরও অভিনয় করবেন ইমন।