টেলিভিশনে নাটক দেখার ধৈর্য থাকে না
>একসময় টেলিভিশন নাটকের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ঈশিতাকে ইদানীং কম দেখা যায়। উৎসব–পার্বণে হঠাৎ দেখা মেলে তাঁর। এবারের ঈদে দুটি নাটকে অভিনয় করেছেন। দুটি নাটকে তাঁর অভিনয় প্রশংসিতও হয়েছে। নাটক দুটিসহ অন্যান্য প্রসঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কথা হলো তাঁর সঙ্গে।
এমনিতে আপনি ইদানীং অভিনয়ে নিয়মিত নন। ‘কেন’ ও ‘ইতি মা’ দুটি নাটকে অভিনয়ের আগে কোন বিষয়গুলো কাজ করেছে?
কেন নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব আমাকে দেন গীতিকবি আসিফ ইকবাল। তাঁর প্রতিষ্ঠান গানচিল এন্টারটেইমন্ট থেকে নাটকটি তৈরি হয়েছে। মানুষটির গানের ভীষণ ভক্ত আমি। ভাবলাম গান তো গাওয়া হলো না, তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাটকে অভিনয় না হয় করি। গল্পটা চমৎকার। নাটকটি পরিচালনা করেছেন মাহমুদুর রহমান হিমি। চট্টগ্রামের বিশেষ একটি লোকেশনে ৯ দিন ও ঢাকায় ১ দিন শুটিং হয়। নাটকে তিনটি গানও আছে। নাটকে আরও অভিনয় করেছেন মেহ্জাবীন, তওসিফ ও নিশো। আর আশফাক নিপুণের কথা কী বলব, সে তো দারুণ কাজ করে। ইদানীং তো আরও অসাধারণ সব গল্পে কাজ করছে। দুজনের সঙ্গে আমার প্রথমবারের মতো কাজের অভিজ্ঞতা হয়েছে। দুজন মানুষের প্রতি ভালো লাগা থেকেই কাজ দুটি করা।
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?
বেশ প্রস্তুতি নিয়ে কাজগুলো করা হয়েছে। বলতে পারেন, প্রতিটি বিষয় জেনে–বুঝেই তাঁরা কাজে নেমেছেন। পরিচালক কী তৈরি করতে চান, সে সম্পর্কে ধারণা একদম পরিষ্কার। ইউনিটও অনেক গোছানো। তাই কাজ করে আমারও ভালো লেগেছে।
প্রচারের পর কেমন সাড়া পেলেন?
ফেসবুকে দেখলাম, অনেকেই নাটক দুটি নিজেদের ওয়ালে শেয়ার করছেন। আবার অনেকে আমাকেও ফোন করে জানিয়েছেন। নিঃসন্দেহে এটা আনন্দের অনুভূতি।
ঘরবন্দী সময়ে অন্য কোনো শিল্পীর কাজ দেখার সুযোগ হয়েছে কী?
আসলে এখন টেলিভিশনে নাটক দেখার ধৈর্য থাকে না। সত্যি কথা বলতে, আমি গত বৃহস্পতিবার থেকে এবারের ঈদের নাটকগুলো দেখা শুরু করেছি। শুরুতে আমি ভিকটিম নাটকটি দেখেছি। এরপর আমার অভিনীত দুটি নাটক দেখেছি। এরপর ঈদে তৈরি অন্যদের কাজগুলোও দেখার চেষ্টা করব।
আপনি তো গান করেন।
একান্ত ভালোবাসা ও আবেগের জায়গা থেকে গানটা করি। অভিনয় করতে গেলে অনেক সময় লেগে যায়। অতটা সময় এখন আমি দিতে পারি না। গান রেকর্ডিংয়ে সময় বেশি লাগে না, তা সময় পেলে করি। তবে বাসায় নিয়মিত রেওয়াজ করি।