জাহিদ হাসান অসুস্থ, শুটিং বন্ধ
ঈদে বাড়িতে সময় কাটবে মানুষের। তাদের বিনোদনের কথা মাথায় রেখে নাটক ও টেলিছবি নির্মাণ করছেন নির্মাতারা। অভিনয়শিল্পীরাও ঘরে বসে থাকেননি। শিল্পীদের সেই দলে ছিলেন অভিনেতা জাহিদ হাসানও। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় শুটিং সেট ছেড়েছেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতে স্বেচ্ছা ঘরবন্দী হয়েছেন। ঈদের সব শুটিং আপাতত বন্ধ করে দিয়েছেন জাহিদ হাসান।
সম্প্রতি শুটিংয়ের সময় হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন জাহিদ হাসান। রাতে বাসায় ফিরলে জ্বর ও ঠান্ডাজনিত অসুস্থতা দেখা দেয়। করোনার উপসর্গ থাকায় কিছুটা ঘাবড়েও যান তিনি। তবে করোনা পরীক্ষায় তাঁর ফল নেগেটিভ আসে। চিকিৎসকের পরামর্শে এখন তিনি বাসায় অবস্থান করছেন। শারীরিক অসুস্থতা ও শুটিং সেটের পরিবেশের কারণে ১১ জুলাই থেকে ঈদের সব কাজ বাতিল করেছেন তিনি।
‘সেদিন শুটিংয়ের সময় একটু শরীর খারাপ লাগছিল। তখন সেভাবে কাউকে বুঝতে দিইনি। আমি কাজ না করলে নির্মাতা ফেঁসে যাবেন। সেভাবেই কাজ শেষ করে রাতে বাসায় ফিরি। তারপর প্রচণ্ড জ্বর আসে, শরীর কাঁপতে থাকে, সঙ্গে ঠান্ডা। যেহেতু চারদিকে করোনা, সে জন্য নিজের মধ্যেও করোনা নিয়ে কিছুটা ভয় ছিল। আমার নিউমোনিয়া বলে আরও বেশি ভয় পাচ্ছিলাম। পরে করোনা টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে,’ বলেন জাহিদ হাসান। তিনি জানান, অনেক দিন ধরে নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন জাহিদ হাসান। এ অবস্থায় শুটিংয়ে একবার ঠান্ডা পানি পান করেছিলেন। করোনাভীতি দূর হলেও শারীরিক নানা সমস্যা থাকতে পারে ধারণা করে বেশ কিছু পরীক্ষা করিয়েছেন তিনি। চিকিৎসকের নির্দেশনায় এই অভিনেতা এখন বিশ্রামে আছেন। তবে আপাতত আর শুটিংয়ে ফিরবেন না তিনি।
করোনার প্রকোপ বাড়লে শুটিং স্থগিত করা হয়। পরে ১ জুন শুটিং শুরু করার অনুমতি আসে। তারপরও বেশ কিছুদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নিয়ম মেনে শুটিংয়ে ফেরেন এই তারকা, ব্যস্ত হয়ে পড়েন ঈদের কাজ নিয়ে। শিডিউল দেওয়া ছিল ঈদের আগপর্যন্ত। সেসব শিডিউল বাতিল করায় অনেকেরই মন খারাপ হয়েছে, জানান জাহিদ হাসান। তিনি বলেন, ‘এ মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত আমার শিডিউল দেওয়া ছিল। অসুস্থতার কারণে আপাতত সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি, কাজ করতে পারব না। এ জন্য কয়েকজন নির্মাতা এবং দুই–তিনটা চ্যানেল কর্তৃপক্ষ খুবই মন খারাপ করেছে। তারা ভাবছে আমি ইচ্ছা করেই কাজ করতে চাইছি না। কিন্তু আমার তো কিছু করার নেই। আমি যখন কাজ শুরু করি, তখন অনেকেই ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছিল। আমি মানসিকভাবে শক্তি সঞ্চয় করে সবার স্বার্থে কাজ করেছি। এখন মনের ওপর জোর খাটিয়ে কাজে ফিরতে পারি না। আমার কাছে তো আমার জীবনটা সবার আগে।’
শুটিং সেটগুলোর পরিবেশ নিয়ে বিরূপ অভিজ্ঞতার কথা জানান জাহিদ হাসান। তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে শুটিংয়ের পরিবেশ ভালোই ছিল। এখন অনেকেই শুটিংয়ে করোনা নিয়ে সিরিয়াস না। তাঁদের মধ্যে গা–ছাড়া ভাব। দু–এক দিন শুটিংয়ের পর থেকেই তাঁরা মাস্ক ব্যবহার, স্যানিটাইজিং করা, দূরত্ব বজায় রাখা যেন ভুলে গেলেন। এই অবস্থায় শুটিংয়ে মন টানছে না। শরীর ও এই পরিবেশ দেখে সিদ্ধান্ত নিই ঈদের আগে আর শুটিং করব না।’ ঈদে বেশ কয়েকটি একক ও ধারাবাহিক নাটকে দেখা যাবে তাঁকে।