চোখ ভিজে গিয়েছিল আজিজুল হাকিমের
আজিজুল হাকিমের শারীরিক অবস্থা কিছুটা দুর্বল। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জিনাত হাকিম জানিয়েছেন, অভিনেতার কিডনি, হার্ট, ফুসফুসসহ অনেক অর্গান হঠাৎ সুনামির মতো এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। কোনো অর্গানই সঠিকভাবে কাজ করছিল না। চিকিৎসায় দ্রুত সেগুলো স্বাভাবিক করে এনেছেন তাঁরা। আপাতত আর কোনো বিপদ নেই। জিনাত হাকিম বলেন, ‘সবার দোয়ায় হাকিম সেরে উঠছে। কেবিনে নেওয়ার পর থেকে আর কোনো ভয় নেই। তার সঙ্গে নিয়মিত কথা হচ্ছে। আমাদের মেয়ে ও জামাই সর্বক্ষণ হাসপাতালে তাঁর দেখভাল করছে। এখন হাকিম খাচ্ছে, অন্যদের খবর নিচ্ছে। চিকিৎসক বলেছেন, সেরে ওঠার পর তাঁকে তিন মাস পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।’
লাইফ সাপোর্ট থেকে কেবিনে স্থানান্তরের পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছেন অভিনেতা আজিজুল হাকিম। এখন আর অক্সিজেন দিতে হচ্ছে না। কথা বলছেন, খেতেও পারছেন। কেবিনে আনার পর স্ত্রী জিনাত হাকিম তাঁকে জানিয়েছেন, ভক্ত ও সহকর্মীরা কীভাবে তাঁর জন্য প্রার্থনা করেছেন। সেসব শুনে চোখ ভিজে উঠেছিল অভিনেতা আজিজুল হাকিমের।
সপরিবার কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর আজিজুল হাকিম, তাঁর স্ত্রী ও ছেলে চিকিৎসকদের পরামর্শে বাসায় চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে আজিজুল হাকিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁকে দ্রুত লাইফ সাপোর্টে এবং পরে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সে সময় বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিলেন আজিজুল হাকিম। পাশে থেকে তাঁকে সাহস জুগিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী ও পরিবার। সুস্থ হয়ে কেবিনে ফেরার পর তাঁকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। সবার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে ছিলেন। এমন সময় তাঁর স্ত্রী আজিজুল হাকিমকে জানান, তাঁর অসুস্থতায় খবরে ভক্ত, সহকর্মী থেকে শুরু করে পরিচিত ও অল্প পরিচিত সবাই তাঁর জন্য দোয়া করেছেন। কথাটি শুনে সঙ্গে সঙ্গে চোখ ভিজে ওঠে আজিজুল হাকিমের। তিনি বলেন, ‘হাকিমের মনটা খুবই নরম। সবাই তার জন্য দোয়া করেছে শুনে সে কেঁদে ফেলছিল। তখন আমরা নিষেধ করি, শারীরিক এ অবস্থায় এখন কান্না করা যাবে না।’
লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার সময় পরিবারের সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন আজিজুল হাকিম। বাঁচবেন কি না, ভেবে ভীষণ ভয় পাচ্ছিলেন। পরিবার তাঁকে আশ্বস্ত করে। জিনাত বলেন, ‘আমরা তখন ভয় পাচ্ছিলাম, কিন্তু তাঁকে বুঝতে দিইনি। যখন সে একটু একটু করে সেরে উঠছিল, তখন আমরা ভরসা পাই। আগে প্রায় শতভাগ অক্সিজেন দিতে হচ্ছিল। এখন মাত্র ১ লিটার দিতে হচ্ছে। দিন দিন কৃত্রিম অক্সিজেনের মাত্রা কমছে। এখন সে ভালো আছে। আমি কিছু খাবার রান্না করে নিয়ে যাই, সেসব ও খেতে পারছে।’