করোনা সতর্কে বিজ্ঞাপন ও নাটকের শুটিং বন্ধ
করোনাভাইরাস সতর্কতার কারণে বাংলাদেশের টিভি-সংশ্লিষ্ট সব শুটিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে আজ সন্ধ্যা সাতটায়। গতকাল বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন নির্মাতা এবং বিজ্ঞাপন এজেন্সিগুলোর কর্তাব্যক্তিরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শুটিং বন্ধ রাখবেন। করোনাভাইরাসের কারণে পূর্বসতর্কতা থেকে শুটিং বন্ধ রাখার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনগুলো।
আজ বেলা দুইটার দিকে ছোট পর্দার নির্মাতা, প্রযোজক, শিল্পী ও চিত্রনাট্যকারদের সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সঙ্গে দেখা করে করোনা পরিস্থিতিতে শুটিং বন্ধ করার বিষয়ে পরামর্শ করেন। আলোচনা শেষে তথ্যমন্ত্রী করোনা সতর্কতায় এই উদ্যোগে সায় দেন। মিটিং শেষে ছোট পর্দার ১৪টি সংগঠন সন্ধ্যার দিকে নিকেতনের একটি অফিসে আলাপ আলোচনা করে শুটিং বন্ধ রাখার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।
এই প্রসঙ্গে ডিরেক্টর’স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক জানান, ‘আজ তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে শুটিং বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। পরে এডকোর সঙ্গে ফোনে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি শুটিং বন্ধ রাখার।’
২২ মার্চ সকাল ৬টা থেকে ৩১ মার্চ রাত ১০ টা পর্যন্ত ছোট পর্দার সব শুটিং বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসির বলেন, ‘করোনা সচেতনতায় আমরা এডকোসহ ১৩টি সংগঠন মিলে আজ সন্ধ্যা সাতটায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি শুটিং বন্ধ করার। আমরা চাই এই মুহূর্তে সবাই নিরাপদ থাকুক। সবার সচেতনতায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। জীবনের নিরাপত্তা সবার আগে।’
এর আগে গতকাল বিজ্ঞাপনের শুটিং বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেন এবং করান এমন উল্লেখযোগ্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানান যায়, নিজ থেকে সচেতন থাকতেই তারা সম্মিলিত সিদ্ধান্তে ২১ থেকে ৩১ মার্চ কোনো ধরনের বিজ্ঞাপনের শুটিং করবে না। এই প্রসঙ্গে বিজ্ঞাপন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান রানআউটের কর্ণধার আদনান আল রাজীব বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে আমরা করোনা নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছি। এর প্রভাবটা এখন ক্রমেই বাড়ছে। এই অবস্থায় সবার যৌথ উদ্যোগে আমরা পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করে সবার সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে ২১ থেকে ৩১ মার্চ শুটিং বন্ধ রাখব।’ তিনি আরও জানান, তাঁদের এই সিদ্ধান্তে অমিতাভ রেজা চৌধুরী, পিপলু আর খান, মেজবাউর রহমান সুমন, রেদওয়ান রনিসহ ২০টির বেশি প্রধান বিজ্ঞাপনের নির্মাণ এজেন্সি ও নির্মাতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।