কচি খন্দকারের আফসোস
‘দুধভাত’, এটি কুষ্টিয়া অঞ্চলের গল্প। ছোটবেলায় ভলিবল, ফুটবলসহ নানা ধরনের খেলার সময় দেখা যেত, একজন অযোগ্য খেলোয়াড় এসে হাজির। তখন তাকে দুধভাত খেলোয়াড় হিসেবে ধরা হতো। তিনি দুই পক্ষেই খেলতে পারবেন। তেমন একজন শামসুল। এভাবে খেলতে গিয়ে তার কাছে মনে হতো, পৃথিবীতে সবকিছুই দুধভাত। এভাবে শুরু হয় নাটকের গল্প।
সম্প্রতি ‘দুধভাত’ নাটকের শুটিং শেষ হয়েছে। নাটকটির মধ্য দিয়ে প্রায় দেড় বছর পর পরিচালনায় ফিরলেন চিত্রনাট্যকার, অভিনেতা ও পরিচালক কচি খন্দকার। নাটকটিতে শামসুল চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। চরিত্রটিতে তাঁকে নেওয়া প্রসঙ্গে কচি খন্দকার বলেন, ‘বাংলাদেশের নাটক, সিনেমায় নানা ধরনের বৈচিত্র্যময় চরিত্র করার যোগ্যতা আমার মনে হয় মোশাররফ করিমের মধ্যেই আছে। এর আগে আমার লেখা “ক্যারাম”, “ফুটবল”, “ভূগোল”, “এফডিসি”সহ নানা গল্পে নানান চরিত্রে ঢুকে তিনি যে ধরনের বৈচিত্র্যময় অভিনয় করার সাহস দেখিয়েছেন, করতে পেরেছেন, তা অন্য কারও পক্ষে পারা কতটা সম্ভব, তা আমার জানা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই “দুধভাত” শামসুল চরিত্রটি ধারণ করার ক্ষমতা ও যোগ্যতা সঙ্গে অভিনয় করার যোগ্যতা একমাত্র মোশাররফের মধ্যেই আছে বলে মনে করি আমি। এই নাটকে সেই আশা পূরণও করেছেন মোশাররফ করিম।’
এদিকে গল্পটি নিয়ে কচি খন্দকারের আফসোস রয়ে গেছে। প্রথমে সিনেমা করার স্বপ্ন ছিল তাঁর। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন আগেই গল্পটি লিখে রেখেছিলাম। সিনেমা করব, কিন্তু আপাতত সেটি আর হলো না। প্রযোজককে কথা দিয়েছিলাম, কথা ফেলতে পারিনি। মজার ব্যাপার হলো, এই নাটকে যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁদের নিয়েই সিনেমাটি করার কথা ছিল। তবে ভবিষ্যতে এই গল্প নিয়েই সিনেমা বানানোর ইচ্ছা আছে। মোশাররফ করিমেরও ইচ্ছা রয়েছে।’
নাটকটির গল্প কুষ্টিয়া ঘিরে। তাই ইচ্ছা ছিল কুষ্টিয়াতে গিয়েই শুটিং করার। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে সম্ভব হয়নি। কচি খন্দকার বলেন, ‘এর আগে কুষ্টিয়ার গল্প নিয়ে যতগুলো নাটক বানিয়েছি, বেশির ভাগই কুষ্টিয়াতেই শুটিং করেছি। কারণ, যে অঞ্চলের গল্প, সেই অঞ্চলে গিয়ে শুটিং করলে কাজটি সহজ হয়, মজাও হয়। কিন্তু এবার ধামরাইকে কুষ্টিয়ার শহর বানিয়েছি।’ নাটকটিতে আরও অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, সোহেল খান, মিলন ভট্টাচার্য, সারিকা সাবরীন প্রমুখ। কচি খন্দকারকে বিশেষ একটি চরিত্রে দেখা যাবে।