আবুল হায়াতকে এখন যেসব খেতে হবে

হাসপাতালে নাট্যজন আবুল হায়াতছবি : সংগৃহীত

সুস্থ হয়ে উঠছেন প্রবীণ অভিনেতা আবুল হায়াত। বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়। বাড়িতে ফেরার পরের ১০ দিন তাঁর কী কী খেতে হবে, তা ঠিক করে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এমনকি কী কী করতে হবে, সেসব নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। আবুল হায়াত এখন কিছুটা সুস্থ। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলছেন তিনি।

আবুল হায়াত
ছবি : সংগৃহীত

সোমবার সন্ধ্যায় আবুল হায়াত কথা বলেন প্রথম আলোর সঙ্গে। তিনি জানান, শুরু থেকেই চিকিৎসকেরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে তাঁর সেবা করেছেন। বিশেষ করে বয়স্ক রোগী হিসেবে সতর্কতার সঙ্গে তাঁর পরিচর্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার হার্টে স্ট্যান্ট পরানো বলে ডাক্তাররা বেশ সাবধান ছিলেন। গত ৩১ তারিখ করোনা ধরা পড়তেই আমি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যাই। দেখলাম একের পর এক ইনজেকশন দিচ্ছে। নিয়মিত মনিটরিং করছে।’

কোনো এক সময়ে মালয়েশিয়া বেড়াতে যাওয়ার পথে অভিনেতা আবুল হায়াতের কোলে নাতাশা-শাহেদের ছেলে, এরপর বসে আছে বিপাশা-তৌকীরের ছেলে, শাহেদ শরীফ খান ও পাশে তাঁর মেয়ে, শিরিন হায়াত, বিপাশা-তৌকীরের মেয়ে, তৌকীর আহমেদ, বিপাশা হায়াত, নাতাশা হায়াত (বাঁ থেকে)
ছবি : সংগৃহীত

অভিনেতা আবুল হায়াত করোনায় আক্রান্ত জানার পর উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন বিনোদন অঙ্গনে তাঁর গুণগ্রাহীরা। প্লাজমা চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় বেশ সাড়া পড়ে গিয়েছিল। আবুল হায়াত জানালেন, এ সময় তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে তাঁকে উদ্দীপ্ত রাখার চেষ্টা করেছেন। নিজের শারীরিক অবস্থা জানিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘শুরু থেকে আমার একদম অক্সিজেন সাপোর্ট লাগেনি। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক ছিল, খাওয়া-দাওয়াও ছিল খুব স্বাভাবিক। খেতে তো একদমই পারতাম না আগে থেকেই। কিন্তু অসুস্থ হওয়ার পর থেকে ডাক্তাররা বলে দিয়েছেন, প্রচুর খেতে হবে। আমি যে ভালোভাবে ফিরেছি, এতে ডাক্তাররা বিস্মিত।’ কী কী খেতে বলেছেন ডাক্তাররা? জানতে চাইলে আবুল হায়াত বলেন, ‘বাসায় যাওয়ার পরের ১০ দিন খাওয়ার একটা রুটিন করে দিয়েছেন। বলেছেন, যতগুলো পারি ডিমের সাদা অংশ খেতে। পারলে দিনে সাত-আটটা। প্রচুর প্রোটিন খেতে বলেছেন তাঁরা। মাছ যদি স্বাভাবিক সময়ে এক টুকরা খাই, তাহলে এখন যেন দুই টুকরা খাই। মুরগি যদি আগে দুই টুকরা খেতাম, এখন যেন চার টুকরা খাই।’

স্ত্রীর সঙ্গে আবুল হায়াত
ছবি : সংগৃহীত

হাসপাতালে নিয়ম করে বই পড়তেন আবুল হায়াত। ডাক্তারদের সহায়তায় বইখাতা সংগ্রহ করে পড়েছেন ও লিখেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘গতকাল আমাকে কেবিনে নিয়ে এল। দেখলাম পাশেই একটা জানালা। সেটা দিয়ে বারিধারা লেক দেখা যায়, পাখি দেখা যায়। খুব প্রশান্তি লাগল, পাখির ছবি তুললাম ক্যামেরা দিয়ে। রোজ সকালে মন ভালো করা কিছু ছবি পোস্ট করেছি আমার ফেসবুক বন্ধুদের জন্য। আমি অসুস্থ থাকাকালীন বহু ফোন ও মেসেজ পেয়েছি। অনেক মানুষ আমার আরোগ্য কামনা করে স্ট্যাটাস দিয়েছে। আমি আপ্লুত, কৃতজ্ঞতার শেষ নেই তাদের প্রতি।’
আজ মঙ্গলবার আরেকবার আবুল হায়াতের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হবে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, সেটা যে নেগেটিভ হবে, নিশ্চিত নয়। দুপুরের পর পরীক্ষা শেষে তাঁর শরীরের সর্বশেষ অবস্থা জানা যাবে।