অভিনেত্রী ডেইজি আহমেদ সিসিইউতে

ঢাকার একটি হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি আছেন অভিনেত্রী ডেইজি আহমেদ
ছবি: সংগৃহীত

শ্বাসকষ্ট, হৃদ্‌স্পন্দন, অক্সিজেন লেভেল কমে যাওয়াসহ বেশ কিছু জটিলতা নিয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি আছেন অভিনেত্রী ডেইজি আহমেদ। তাঁর বড় মেয়ে তাহসিন ফারজানা তিলোত্তমা জানিয়েছেন, শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি হওয়ায় ৪ সেপ্টেম্বর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বুলবুল আহমেদ ও ডেইজি আহমেদ
ছবি: সংগৃহীত

গত ২৫ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হন ডেইজি আহমেদ। আগস্টে সেরে ওঠেন। কিন্তু করোনাজনিত শারীরিক কিছু জটিলতা থেকেই যায়। সেটাই ক্রমে বাড়তে থাকে। তাহসিন ফারজানা বলেন, ‘১ সেপ্টেম্বর রাতে হঠাৎই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। অনেক সময় পরে বুঝতে পারেন, ঠান্ডা লাগছে। কিন্তু কী হয়েছিল, কিছুই মনে ছিল না। এর পর থেকে আম্মার শ্বাসকষ্টের সঙ্গে অন্যান্য জটিলতা বাড়তে শুরু করে। দ্রুত তাঁকে আমরা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই।’

বুলবুল আহমেদ ও ডেইজি আহমেদ
ছবি: সংগৃহীত

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তাহসিন ফারজানা বলেন, ‘চিকিৎসকেরা পেসমেকার লাগানোর কথা বলছেন। কিন্তু মায়ের শারীরিক অবস্থার কারণে পেসমেকার লাগানোর মতো অবস্থা নেই। তবে শ্বাসকষ্ট কমে গেলে লাগানোর দরকার নেই। এ ছাড়া তাঁরা (চিকিৎসকেরা) এনজিওগ্রাম করেছিলেন। হার্টের অন্য কোনো সমস্যা নেই। তাঁরা অবজারবেশনে রেখেছেন। অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। শ্বাসকষ্ট নিয়েই সবাই বেশি চিন্তিত।’
ডেইজি আহমেদ প্রয়াত অভিনেতা বুলবুল আহমেদের স্ত্রী এবং অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা আহমেদের মা।

পরিবারের সঙ্গে ডেইজি আহমেদ দম্পত্তি
ছবি: সংগৃহীত

চার দিন ধরে সিসিইউতে আছেন ডেইজি আহমেদ। ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না। তাঁর স্বাস্থ্যও ভেঙে পড়েছে। কিছুই খেতে পারছেন না। তাহসিন ফারজানা বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তির পরে চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, তাঁর ফুসফুসে পানি জমেছিল। হৃদ্‌স্পন্দন কমে যাওয়ায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। মায়ের সঙ্গে কিছুটা কথা বলার চেষ্টা করি। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।’