বাবার পথেই হাঁটতে চান ছেলে
এখনো রয়েছে গ্রামীণ সংস্কৃতির অনেক না বলা গল্প। সেগুলো নিয়মিত পর্দায় তুলে ধরা উচিত। এই গল্পগুলো তুলে ধরলে বিদেশের সংস্কৃতি থেকে গল্প ধার করতে হবে না বলে মনে করেন পরিচালক সোহেল আরমান। গ্রামবাংলার বিষয়বস্তু নিয়েই তিনি নিয়মিত নাটক করতে চান। আবিস্কার করতে চান নতুন শুটিংয়ের লোকেশন। যেগুলো দর্শকদের আগ্রহী করে তুলবে।
সোহেল আরমান নির্মাণ করছেন খণ্ড নাটক ‘নয়নপাখি’। নাটকের জন্য বেছে নিয়েছেন আড়িয়ল খাঁর পাড়ের এলাকা। এই পরিচালক বলেন, ‘আমাদের বেশির ভাগ নাটক উত্তরাকেন্দ্রিক। আর গ্রাম মানেই পুবাইল। কিন্তু সেখানে গ্রামের সংস্কৃতির গল্পগুলো উঠে আসছে না; বরং আমাদের গ্রামের সংস্কৃতিগুলো দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ মানুষ এখনো গ্রাম ভালোবাসে, গ্রামে থাকতে চায়। গ্রামীণ আবহ পছন্দ করে। যে কারণে আমার কাছে মনে হচ্ছে গ্রাম নিয়ে অনেক বেশি কাজ হওয়া উচিত।’
সোহেল আরমান এ সময়ে আরও জানান, গাজীপুরের পুবাইলের ভাদুন গ্রামে এখন সবচেয়ে বেশি শুটিং হয়। শুটিংয়ের জন্য এই গ্রাম খুঁজে বের করেন তাঁর বাবা আমজাদ হোসেন। সেখানে পরে গড়ে ওঠে শুটিংয়ের আধুনিক ব্যবস্থা।
এ সময় বাবার কথা স্মরণ করে সোহেল আরমান বলেন, ‘আমার বাবাই কিন্তু পুবাইলের মানুষদের শুটিংয়ে এনেছেন। পরে সেখানে ভালো ভালো গল্প হয়েছে। আমার ইচ্ছা, ঢাকার বাইরে গ্রামীণ অনেক লোকেশন আছে। এগুলোতে গল্প বলা। তাহলে গ্রামীণকেন্দ্রিক অনেক গল্প উঠে আসবে। তরুণ প্রজন্ম বা টিনএজ ছেলেমেয়েদের গ্রামের গল্প দেখাতে হবে। তারাও গ্রামীণ শিল্প–সংস্কৃতিকে নতুন করে আবিষ্কার করতে পারবে। সেই চেষ্টাই করব।’
সোহেল আরমান জানান, শুক্রবার থেকে নাটকটির শুটিং শুরু করেছেন। নাটকে প্রথমবার একসঙ্গে নাম লিখিয়েছেন শ্যামল মাওলা ও সামিরা খান মাহি। সোহেল আরমান জানান, গ্রামের নয়ন ও পাখি নামে দুই তরুণ–তরুণীর ভালোবাসার গল্প নিয়েই নাটকটি। এটি আসছে ঈদে প্রচার করা হবে।