পুরান ঢাকায় বেড়ে উঠলেও ঢাকাইয়া জানেন না; কিন্তু আঞ্চলিক ভাষায় পটু

জান্নাতুল হিমি। অভিনেত্রীর সৌজন্যে

নিলয় আলমগীর ও জান্নাতুল হিমি এই সময়ের নাটকের জনপ্রিয় জুটি। তাঁদের বেশির ভাগ নাটকই বিভিন্ন অঞ্চলের গল্পকে প্রাধান্য দিয়ে করা। পুরান ঢাকায় বেড়ে উঠলেও ‘ঢাকাইয়া’টা সেভাবে শেখা হয়নি হিমির। এখনো পুরান ঢাকার পটভূমিতে কোনো নাটকে অভিনয় করতে গেলে অভিজ্ঞ শিল্পীদের পরামর্শ নেন এই অভিনেত্রী। তবে ঢাকার ভাষা বলতে না পারলেও অন্য অঞ্চলের ভাষায় কিন্তু ঠিকই ‘পটু’। নাটকে অভিনয় করতে গিয়ে পাবনা, বরিশালসহ বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষাও শিখেছেন তাঁরা।

হিমি বলেন, ‘এত সংখ্যক নাটক করি যে আঞ্চলিক ভাষায় এখন আর সমস্যা হয় না। শুটিংয়ে সব সময় শেখার মধ্যে থাকি। কোনো লাইটম্যানও যদি অভিনয় নিয়ে কথা বলেন, তাঁর কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করি। আমি যেহেতু গ্রামে বড় হইনি, তাই চারপাশের অভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগিয়েছি।’

আরও পড়ুন

সম্প্রতি ইউটিউবে প্রচারিত হয়েছে হিমি ও নিলয়ের ‘কিস্তির স্যার’। গতকালও নাটকটি বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে ছিল। ঋণের কিস্তি আদায়কে কেন্দ্র করে নানা ঘটনা নিয়ে এই নাটক।

জান্নাতুল হিমি। অভিনেত্রীর সৌজন্যে

এই অভিনেত্রী বলেন, ‘গ্রামের কিস্তিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যে ঘটনাগুলো ঘটে, গল্পে সেগুলোই তুলে ধরা হয়েছে। সেটি বাস্তবসম্মত হওয়ায় অনেকেই আমাদের অভিনয়ের প্রশংসা করছেন। কেউ কেউ বলছেন, গ্রামের চরিত্রে নাকি পুরোপুরি মানিয়ে গেছি।’

নাটকের গল্পে এখন সমসাময়িক বিষয়ই পছন্দ করছেন দর্শক। হিমি বলেন, ‘গ্রামে কিন্তু এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে—ব্যাংক থেকে টাকা তুলছেন, পরে আর কিস্তি দিচ্ছেন না। কিস্তি যে ব্যক্তি নিতে আসেন, তিনি কিস্তি না পেলে বাড়িতে যা আছে তা–ই নিয়ে যান। সম্প্রতি দেখবেন, একটি ঘটনা ভাইরাল হয়েছে।

জান্নাতুল হিমি। অভিনেত্রীর সৌজন্যে

সেখানে কিস্তির টাকা না পেয়ে একজন কর্মী গরু নিয়ে যাচ্ছেন। গ্রামে এসব ঘটনা খুবই কমন। নাটকে সেটিই তুলে ধরা হয়েছে।’

হিমি মনে করেন, নাটক বিনোদনমূলক হলে দর্শক বেশি গ্রহণ করেন; কিন্তু ঘটনাগুলো দর্শকের পরিচিত হতে হবে। ‘বেশির ভাগ দর্শক কী পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন, কী ভাবছেন—এসব জানা জরুরি। সেই বিষয়ের মধ্য দিয়ে যদি কোনো বার্তা দেওয়া যায়, তাহলে সেই কাজকে আরোপিত মনে হয় না।’