‘জোভান ভাই সাঁতার জানে না, আমিও না; ভয়ে পুকুরের পানি খেয়েছি’

পানিতে শুটিংয়ের একটি দৃশ্যে জোভান ও পায়েল। ছবি: সংগৃহীত

শুটিং করতে গিয়ে অভিনয়শিল্পীদের নানা অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এসব অভিজ্ঞতার মধ্যে কখনো থাকে দারুণ, কখনো কখনো তিক্ত, কখনো তা হয়ে থাকে ভয়ের কারণ। এমন এক অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হলো অভিনেত্রী কেয়া পায়েলকে। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘বউয়ের বাড়ি’ নাটক প্রসঙ্গে উঠে এল সেসব কথা।

কেয়া পায়েল বলেন, ‘শুটিংয়ের এই অভিজ্ঞতা কখনোই ভুলব না। গল্পের প্রয়োজনে একদম পুকুরের মাঝে যেতে হয়। এদিকে আমি সাঁতার পারি না। আবার জোভান ভাই দেখলাম চুপ। পরে জানলাম, তিনিও সাঁতার জানেন না। ভয়ে ভয়ে পুকুরে নামলাম। পরে আমরা কলস নিয়ে নেমেছিলাম, যেন ডুবে না যাই, কিন্তু মনে মনে অনেক ভয়। এটার অভিজ্ঞতা যারা সাঁতার জানেন না, তাঁরাই শুধু বুঝবেন।’

অভিনেত্রী কেয়া পায়েল। ছবি: ফেসবুক

কলস নিয়ে ভাসতে ভাসতে কূল থেকে মাঝপুকুরের দিকে চলে যান। তবে খুব বেশি পানি ছিল না এমন জায়গা বেছে নেয় শুটিং ইউনিট। তা ছাড়া যথেষ্ট নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল। পায়েল বলেন, ‘হাতে কলস নিয়ে কিছু দূর যাওয়ার পরে তো ডুবে যাওয়ার মতো অবস্থা। জোভান ভাই সাঁতার জানে না, আমিও না। একবার ভয়ে পুকুরের পানি খেয়েছি।’ এখন তিনি অনুধাবন করছেন, সাঁতার শেখা দরকার। শুটিংয়ের ব্যস্ততার ফাঁকে চেষ্টা করে সাঁতার শিখে নেবেন।

ফারহান আহমেদ জোভান
ছবি: জোভানের ফেসবুক থেকে

নাটকটি পরিচালনা করেছেন সাজিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রামের এমন ঘটনা অনেক দেখা যায়। এসব নিয়ে অনেক সময় ভিন্ন ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়। তেমনই একটা ঘটনা। নাটকটি দেখে দর্শক পছন্দ করছেন। মুক্তির এক দিন হচ্ছে, আশা করছি গ্রামীণ গল্পটি দর্শক পছন্দ করবেন।’

পানিতে শুটিংয়ের একটি দৃশ্যে জোভান ও পায়েল। ছবি: সংগৃহীত

বিয়েবাড়ির আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে বরের হাতে হাত রেখে কান্না করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যান কনে। বিয়েতে মত নেই ভেবে সন্দেহ হয় বরের। বউয়ের বাড়ির লোক চান মেয়েটিকে শ্বশুরবাড়ি পাঠাতে। বর চান হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে। এই নিয়ে ‘বউয়ের বাড়ি’ নাটকের গল্প। নাটকে বর ও কনে চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারহান আহমেদ জোভান ও কেয়া পায়েল। গতকাল বৃহস্পতিবার নাটকটি ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে। সবশেষে কেয়া পায়েল মজার ঘটনা ভাগাভাগি করে জানালেন, নাটকের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে কান্না করতে হয়েছে।