কে অভিনেতা, দর্শক তা বিবেচনা করছেন না
দুই বছর পর ঈদনাটকে ফিরেছেন ইরফান সাজ্জাদ। গত ঈদে প্রচারিত সন্ধ্যা ৭টা, পাতাবাহারসহ বেশ কিছু নাটকের অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন এই অভিনেতা। ইউটিউবে নাটকগুলো দেখছেন দর্শক। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তাঁর অভিনীত সিনেমা ও ওয়েব সিরিজ। বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে গত সোমবার প্রথম আলোর মুখোমুখি হয়েছিলেন এই অভিনেতা।
প্রথম আলো :
পরপর দুই বছর ঈদে আপনাকে পাওয়া যায়নি...
ইরফান সাজ্জাদ: দুই বছর ঈদে আমি সেই অর্থে কাজ করিনি। হয়তো মন চাইছিল কিন্তু পরিস্থিতির জন্য পারিনি। আমি সেই সময়ে আমার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ভারতে ছিলাম। মাঝে দেশে থাকলেও ঈদের সময় দুই বছরই টানা ভারতে ছিলাম। সেই ঈদ, ব্যস্ততাকে খুবই মিস করেছি।
প্রথম আলো :
ফেরার পর নাটক দেখে দর্শকেরা কী বলছেন?
ইরফান সাজ্জাদ: কাজ মানেই তো দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ। সেই যোগাযোগ আবার তৈরি হচ্ছে। দর্শক নাটকগুলো দেখছেন। প্রশংসা করছেন। ফেরার আগে কিছুটা চিন্তা হচ্ছিল। তবে আস্থা ছিল, দর্শক কাজগুলো ভালোভাবে নেবেন। যে কারণে আমি বেছে বেছে পাঁচটি কাজ করেছি। রোমান্টিক কাজগুলো দর্শক পছন্দ করেছেন। একটা স্বস্তির জায়গা যে দর্শক কনটেন্ট পছন্দ করছেন। কে অভিনেতা, দর্শক বিবেচনা করছেন না। তাঁরা ভালো কাজ দেখতে চান।
প্রথম আলো :
আপনার তো তারকামূল্য রয়েছে?
ইরফান সাজ্জাদ: যদি কারও ফেস ভ্যালু থাকে, সেটা বাড়তি পাওয়া। এটাকে একটা বুস্টিং বলা যায়। আলাদা দর্শক পাবে। কিন্তু আমি বলতে চাই সার্বিক পরিস্থিতির কথা। ওটিটিতে এমন অনেক কনটেন্ট রয়েছে, যেগুলোতে সেই অর্থে কোনো তারকা নেই। ভালো কনটেন্ট আর ভালো অভিনয় করলেই দর্শকেরা সেটা টাকা দিয়ে দেখছেন। এখন কনটেন্টই নায়ক। খ্যাতি প্লাস ভালো কনটেন্ট প্লাস পয়েন্ট।
প্রথম আলো :
সাদিয়া আয়মানের সঙ্গে ‘পাতাবাহার’ নিয়ে দর্শকেরা কী বলছেন?
ইরফান সাজ্জাদ: সাদিয়া আয়মানের সঙ্গে আমার খুব বেশি অভিনয় করা হয়নি। গত ভালোবাসা দিবসে একসঙ্গে অভিনয় করেছি। সেটাই ছিল প্রথম। দেখলাম দর্শকেরা আমাদের জুটি নিয়ে কথা বলছেন। পরে আবার যখন এবার ঈদে ‘পাতাবাহার’ নাটকে অভিনয় করলাম; দেখি নাটক নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ আরও বেশি। পরিচালকেরাও আমাদের জুটি নিয়ে ভাবছেন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু কাজ করা হয়েছে। সেগুলো প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রথম আলো :
আপনার ‘ভয়াল’ ও ‘আলী’ সিনেমার কী অবস্থা?
ইরফান সাজ্জাদ: সিনেমা দুটির পুরো কাজ শেষ। এখন মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। দুটি সিনেমা নিয়েই আমি আশাবাদী। দীর্ঘ সময় পর আবার সিনেমায় নাম লিখিয়েছি। এবার একটু চ্যালেঞ্জিং আমার জন্য। কারণ, সিনেমায় আরও বেশ কিছু প্রস্তাব পেয়েছি। সেগুলো নির্ভর করছে এই দুটি সিনেমার ওপর। এখন ভেবেই সিনেমা করতে চাই।
প্রথম আলো :
আপনার জায়গা থেকে কী ভাবছেন?
ইরফান সাজ্জাদ: আমি তো আসলে প্রযোজক বা পরিচালক নই। আমার জায়গা থেকে আমি এখন চাইছি, কেউ যেন আমার মানহীন কোনো কাজ না দেখেন। ঈদুল আজহায় আমি ভালো গল্প ছাড়া কোনো নাটকে নাম লেখাতে চাই না। কারণ, আমার নাটক যদি দর্শক গ্রহণ না করেন, তাহলে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। হয়তো বলবেন, নাটকই ভালো লাগে না, সেখানে সিনেমা দেখে কী করব। আমি চাই, এমন নেগেটিভ ধারণা না হোক। অল্প কাজ করব কিন্তু বাছবিচার করেই নাম লেখাতে চাই।