সবার আবেগ স্পর্শ করায় নাটকটি সফল হয়েছে

তরুণ প্রজন্মের অভিনয়শিল্পী পারসা ইভানা। এবারের ঈদে ‘শেষমেশ’সহ বেশ কয়েকটি নাটক প্রচারিত হয়েছে। প্রতিটি নাটকই কমবেশি আলোচনায় এসেছে। গত শনিবার দুপুরে নানা প্রসঙ্গে কথা হয় তাঁর সঙ্গে

প্রথম আলো:

‘শেষমেশ’ নাটকটি অনেক দিন ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে ছিল। নাটকটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহের এত কারণ কী?

পারসা ইভানা : পারিবারিক গল্পের নাটক এটি—মায়ের প্রতি ছেলের ভালোবাসা আর ছেলের প্রতি মায়ের নিঃস্বার্থ ভালোবাসার গল্প। মায়া, বন্ধন ও আবেগের ভ্রমণ ছিল পুরো গল্পে। অসুস্থ মাকে খুশি করার জন্য ছেলের নানা চেষ্টার ব্যাপারটি নাটকটিতে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর ও সুন্দর সম্পর্ক বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের। তাই হয়তো গল্পটি মানুষকে আবেগপ্রবণ করে তুলেছে। সবার আবেগ স্পর্শ করতে পারায় নাটকটি সফল হয়েছে।

আরও পড়ুন
পারসা ইভানা। ছবি: অভিনেত্রীর সৌজন্যে
প্রথম আলো:

কাজল আরেফিন অমির বেশির ভাগ নাটকেই আপনি এখন অপরিহার্য। তাঁর সঙ্গে আপনার রসায়ন কেন বারবার সফল হয় বলে মনে করেন।

পারসা ইভানা। ছবি: অভিনেত্রীর সৌজন্যে

পারসা ইভানা : অমি ভাইয়া যে শিল্পীকে নির্বাচন করেন, তাঁর কাছ থেকে সব সময় সবচেয়ে সেরাটাই বের করার চেষ্টা করে থাকেন। তাঁর কাজে যে শিল্পী একটি দৃশ্যও করে থাকেন, তাঁকে দর্শক মনে রাখেন। কারণ, তিনি শতভাগ সততা দিয়ে কাজটি করে থাকেন। শিল্পী হিসেবে আমরাও শতভাগ আন্তরিক থাকি, যেন তাঁর কষ্ট বিফলে না যায়। এটাও ঠিক, প্রতিটি কাজই কষ্টের। তবে কিছু কাজ থাকে, নিজের সেরাটা দিতে ইচ্ছা করে। টিমের সবাই এত দুর্দান্ত, চেষ্টা থাকে নিজেকে প্রতিনিয়ত অন্যভাবে উপস্থাপনের। সবার মধ্যে একধরনের ভালো পারফরম্যান্স করার ক্ষুধাও থাকে। দর্শক তাই পছন্দ করেন, বারবার আমাদের কাজ দেখতে চান। আমিও শিল্পী হিসেবে চাই, সামনের কাজগুলোতেও যেন অমি ভাইয়ার টিমে থাকতে পারি।

পারসা ইভানা। ছবি: অভিনেত্রীর সৌজন্যে

প্রথম আলো :

এবার ঈদের নিজের অভিনীত ছাড়া আর কোন নাটকটি ভালো লেগেছে?

পারসা ইভানা : এবারের ঈদে তেমন কোনো কাজ দেখা হয়নি। তিন বছর পর আমার আম্মু যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। তাই পরিবারকে সময় দিয়েছি। নিজের কাজ দেখেছি। তবে এটা বলতে পারি, এখন যাঁরা কাজ করছেন, সবাই বেশ ভালো করছেন। সামাজিক মাধ্যমে অনেকের কাজের প্রশংসা শুনেছি।

প্রথম আলো:

২০১৪ সালে ‘চ্যানেল আই সেরা নাচিয়ে’ দিয়ে বিনোদন অঙ্গনে যাত্রা শুরু শোবিজে আসেন। এরপর ১০ বছর পেরিয়ে গেছে। এক দশকে নিজের চাওয়া-পাওয়া কতটা মিলেছে?

পারসা ইভানা : কী করতে পেরেছি, জানি না। তবে কখনো ভাবিনি মানুষ আমার কাজ দেখে জড়িয়ে ধরে কাঁদবেন। দর্শকদের এত ভালোবাসা পেয়েছি এই ১০ বছরে, যেটা আমার সবচেয়ে বড় অর্জন। তবে আমার পথচলা অনেক কঠিন ছিল, এখনো কঠিনই আছে। কাজ শুরুর দিন থেকে ভালো কিছু করার চেষ্টা করেছি। এটা সব সময় মনে রাখি, আরও অনেক দূর যেতে হবে।

প্রথম আলো:

আপনি এখন ফেসবুকে বিভিন্ন গানের সঙ্গে নাচের ভিডিও পোস্ট করেন। দেশ-বিদেশে আপনার প্রিয় নাচের শিল্পী কারা?

পারসা ইভানা : নাচ দিয়েই তো আমার শুরু। সবাই আমাকে চিনেছেন নাচের কারণেই। তা ছাড়া আমার আম্মু চান, অভিনয়ের পাশাপাশি আমি নাচটাও যেন নিয়মিত করি। একদিন মনে হলো, একটু নাচের মহড়া করা দরকার। কী মনে করে যেন ভিডিও আপলোড করেছিলাম। দেখলাম, দর্শকেরা খুব ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। তার পর থেকে সময় পেলেই নাচের ভিডিও শেয়ার করি। নাচের জন্য দেশ-বিদেশের অনেকের প্রশংসা পাচ্ছি। এটা আমাকে খুব আনন্দ দেয়। আমার সবচেয়ে পছন্দ মাধুরী দীক্ষিত। আমার দৃষ্টিতে অভিব্যক্তির দিক দিয়ে নাচে তাঁর ওপরে আর কেউ নেই।

পারসা ইভানা। ছবি: অভিনেত্রীর সৌজন্যে

প্রথম আলো :

আর কী কী কাজ করছেন?

পারসা ইভানা : এখন গুণগত মান বিচার করে কাজ করার চেষ্টা করছি। ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও কাজের চেষ্টা করছি। কোরবানির ঈদের জন্য দু-একটা কাজ হয়তো করব।