ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে ‘সৌদি মতিন’
বিনোদন–দুনিয়ায় বছরটা যেন ছিল শর্টস ভিডিওর। বছরজুড়েই এক মিনিটের কম সময়ের ভিডিওগুলো (শর্টস) ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে ছিল। সেখানে বেশির ভাগ নাটক ভিউর দৌড়ে পিছিয়ে ছিল। এগিয়ে থাকত শর্টসগুলো। রোববার রিলিজের পরই ট্রেন্ডিং-১–এ চলে আসে ‘সৌদি মতিন’ নাটকটি। শুধু তা–ই নয়, অল্প সময়ে এটি সর্বাধিক দেখা কোনো নাটকের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
নাটকটি ইউটিউবে প্রচারের এক দিন পরই প্রায় চার মিলিয়ন দর্শক দেখেছেন। নাটকের পরিচালক মহিন খান জানান, এ বছর বেশির ভাগ সময় দেখা গেছে শর্টস ভিডিওর ভিউর সঙ্গে নাটককে প্রতিযোগিতা করতে। বিদেশের বিভিন্ন তারকাবহুল শর্টস অল্প সময়েই ট্রেন্ডিংয়ে চলে আসে। শর্টসের আলাদা দর্শকদের টার্গেট করে নির্মাণ করা হচ্ছে। ‘সেখানে দীর্ঘ সময় পর আমাদের নাটকটি ট্রেন্ডিংয়ে এল। দেখা যায়, শর্টস ভিডিওর আন্তর্জাতিক দর্শক থাকে। কিন্তু আমাদের নাটকের দর্শক শুধুই বাংলাভাষী। সেখানে দর্শক নাটক দেখছেন, পছন্দ করেছেন, এটাই ভালো লাগার,’ বলেন মহিন।
নাটকে মতিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিলয় আলমগীর এবং তাঁর সঙ্গে জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। পরিচালক জানান, প্রবাসীদের লক্ষ্য করেই তাঁদের জীবনের গল্প বলেছেন। গল্পটি তাঁর খুব কাছ থেকে দেখা। মতিন চরিত্রটি বাস্তবতা থেকে নেওয়া। একই কথা বললেন নাটকের অভিনেত্রী হিমি। তিনি জানান, পরিচালক মহিনের বেশির ভাগ কমেডি নাটকে অভিনয় করলেও এবার দর্শকেরা গল্পের সঙ্গে নিজেদের মেলাতে পেরেছেন।
হিমি বলেন, ‘আমাদের দেশের বড় একটা সংখ্যা প্রবাসী। তাঁরা রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবেই পরিচিত। তাঁরা যেমন ডলার পাঠাচ্ছেন, পরিবারকে সহায়তা করছেন, তাঁদের কাছে পরিবারের প্রত্যাশা বেশি। কিন্তু দিন শেষে তাঁদেরও একটা না–বলা গল্প থেকে যায়। তাঁদের স্ট্রাগলটা হয়তো অনেকের চোখে পড়ে না। সেই গল্প দর্শকেরা পছন্দ করেছেন। নাটকে হাজারো মন্তব্য। প্রবাসী ভাইয়েরা বলছেন, এটা আমাদের গল্প। দর্শকেরা নিজেদের গল্পের সঙ্গে মেলাতে পেরেছেন বলেই এটি বেশি দর্শক দেখেছেন। এই সৌদি মতিন টাকা ফুরিয়ে গেলে বাস্তবতা বোঝে।’
মতিন সৌদি আরবে থাকে। ছুটি কাটাতে দেশে আসে। টাকার বাহাদুরি দেখানোর কারণে গ্রামের মানুষের কাছে তাঁর পরিচিতি হয় সৌদি মতিন নামে। হাস্যরসাত্মক নানা ঘটনায় এগিয়ে চলা গল্পটি একসময় বিবেক জাগ্রত করে। ট্রেন্ডিংয়ে থাকা এ নাটকের পাশাপাশি পরবর্তী ৫ পর্যন্ত ট্রেন্ডিং তালিকায় রয়েছে শর্টস ভিডিও। পরের তালিকায় রয়েছে মোস্তফা কামাল রাজের নাটক ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’। এতে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান ও তানজিম সাইয়ারা তটিনী। পরের নাটক ‘বউ দোকানদার জামাই ক্যাশিয়ার’। ট্রেন্ডিংয়ে থাকা নাটকে অভিনয় করেছেন শামীম হাসান সরকার ও তানিয়া বৃষ্টি।