সংস্কার কমিটিতে আরও চারজন
নিয়মিত, অনিয়মিত সদস্যদের দাবির মুখে সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সংস্কার কমিটি গঠন করেছে অভিনয় শিল্পী সংঘ। ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় অভিনেতা তারিক আনাম খানকে কমিটির প্রধান করা হয়। সেদিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর মহাখালীতে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত হয়, অভিনয় শিল্পী সংঘের বর্তমান কমিটি বহাল থাকবে। যেহেতু সংস্কারের বিষয়টি আসছে, তাই অন্তর্বর্তী সংস্কার কমিটি করা হয়েছে, যার প্রধান তারিক আনাম খান। তাঁর সঙ্গে আরও চারজন সদস্য থাকবেন। এই চারজনের নাম আজ জানা গেল। অন্তর্বর্তী সংস্কার কমিটি প্রধান তারিক আনাম খানের সঙ্গে যুক্ত হলেন অভিনয়শিল্পী ওয়াহিদা মল্লিক জলি, জিতু আহসান, সাহানা সুমি ও এ কে আজাদ সেতু।
অভিনয় শিল্পী সংঘের প্যাডে তারিক আনাম খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এমনটাই জানানো হয়। চিঠিতে তারিক আনাম খান উল্লেখ করেছেন, ‘১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় আমাকে শিল্পী সংঘের অন্তর্বর্তীকালীন সংস্কার কমিটির প্রধান করা হয়। ওই দিনই আরও চারজনকে যুক্ত করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছিল। আমার সঙ্গে কাজ করতে উল্লেখিত চারজন সদয় সম্মতি প্রদান করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আলোচনার দ্বার সব সময় উন্মুক্ত থাকবে। অভিনয়শিল্পীদের পেশার মর্যাদা, সম্মান, অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের সম্মিলিত উদ্যোগ বৃথা যাবে না। সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।’
সমিতির নির্বাহী দায়িত্ব পালন করবে সংস্কার কমিটি। আর দাপ্তরিক কাজগুলো করবে বর্তমান কমিটি। পাশাপাশি তারা সংস্কার কমিটিকে সহযোগিতা করবে। আগামী চার মাসের মধ্যে সাধারণ সভার আয়োজন করতে হবে। সংস্কার কমিটির দেওয়া সুপারিশগুলো সাধারণ সভায় পাস হতে হবে। ওই সভা থেকেই পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনের পর নির্বাচিত নতুন কমিটির কাছে বর্তমান কমিটি ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।
সংস্কার কমিটির প্রধান তারিক আনাম খান বিশেষ সাধারণ সভা প্রসঙ্গে বলেন, ‘অনেক দিন থেকেই সংগঠনটির কিছু সংস্কার দরকার হয়ে পড়েছিল। অনেক সদস্য এসব বিষয়ে কথাও বলে আসছিল। সর্বশেষ ৫ আগস্টের সরকার পতনের আগের কার্যক্রম নিয়ে সংগঠনের কারও কারও বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে সংগঠনের ভেতরে–বাইরে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সমাধানের পথ খুঁজতেই এ বিশেষ সাধারণ সভা।’
সংস্কার কমিটির প্রধান হিসেবে কোন কোন বিষয়ে গুরুত্ব দেবেন—এ প্রসঙ্গে এই অভিনেতার বক্তব্য ছিল, ‘শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই তো এই সংগঠন। শুটিং থেকে শুরু করে শিল্পীদের সুবিধা–অসুবিধাগুলোও এই সংগঠনের দেখার দায়িত্ব। সবকিছুই একটা সিস্টেমের মধ্যে আনতে হবে। শুটিংয়ের সময়, পারিশ্রমিক থেকে শুরু করে শিল্পীকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত করানোসহ শিল্পীদের স্বার্থ সংরক্ষণে নানা বিষয় আসতে পারে।’