এবার নাচতে গিয়ে ভয় লাগছিল
শৈশবে নাচের প্রতি ঝোঁক ছিল। পরে শিবলী মহম্মদ ও শামীম আরা নিপার কাছে নাচ শেখেন। দীর্ঘদিন নিয়মিত নাচ করতেন। হঠাৎ করেই নাচ থেকে দূরে সরে যান অভিনেত্রী তাহমিনা সুলতানা মৌ। শুরু করেন অভিনয়। পরে আর নাচে নিয়মিত আসা হয়নি। এবার পাঁচ বছর পর বাংলাদেশ টেলিভিশনে নাচের একটি অনুষ্ঠানে দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে। দীর্ঘদিন পর নাচতে গিয়ে এই অভিনেত্রী অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে বললেন, ‘এবার নাচতে গিয়ে ভয় লাগছিল।’
অভিনয়ে ব্যস্ততার কারণে নাচ নিয়ে খুব একটা ভাবতে পারেননি, যে কারণে নাচে সময়টাও দেওয়া হয়নি। একসময় অনুশীলন বন্ধ হয়ে যায়। এই অভিনেত্রী বলেন, ‘নিয়মিত নাচ করলে শরীর এক রকম থাকে। আবার না করলে শরীর একদম ভার হয়ে থাকে। যে কারণে এবার পাঁচ বছর পর নাচতে গিয়ে ভয়ই লাগছিল। নাচ তুলতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। শুরুর দিকে নাচ মনেই রাখতে পারছিলাম না। আর নাচতে এবার আলাদা করে ভয় লাগার কারণ হলো, এই অনুষ্ঠানে তরুণ অনেকেই আছেন। তাঁরা অনেক প্রতিভাবান। তাঁদের সঙ্গে নাচতে ভয়ই লাগে।’
একসময় নাচ নিয়ে অনেক বেশি অনুষ্ঠান হলেও এখন তেমন একটা নাচের অনুষ্ঠান হয় না বলে মনে করেন তাহমিনা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘নাচকে এখন অনেক অবহেলা করা হয়। এই দেখেন এত টেলিভিশন চ্যানেল, কিন্তু বিটিভি ছাড়া নাচের তেমন কোনো অনুষ্ঠান নাই। এটাও খুব কষ্ট দেয়। কিছুদিন আগেও নাচের জন্য তেমন কোনো স্বীকৃতিই ছিল না। এই চর্চা চালু রাখা জরুরি। এখানে যাঁরা নতুন আসছেন, তাঁদেরও দায় আছে। তবে নাচকে গুরুত্ব দিতে হবে।’
নাচকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য ‘নৃত্যশিল্পী ফাউন্ডেশন’ নামে নতুন একটি সংগঠন করেছেন, সেখানে নাচের শিল্পীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নাচ নিয়ে কাজ করবেন বলে জানান তাহমিনা। ‘নাচটা আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে নিয়ে যেতে চাই। তুলে ধরতে চাই। এখানে দেখা যায় যে শুরুতে সবাই আগ্রহ নিয়েই নাচ শেখেন। কিন্তু এখান থেকে তেমন পরিচিতি না আসার কারণে পরে কেউ অভিনয়, কেউ মডেলিং শুরু করেন। সেখানে পরিচিতি পাওয়ার পর কেউই আর ফিরতে চান না। এ জন্য আমরা সংগঠন থেকে নাচকে এগিয়ে নিতে নিয়মিত কাজ করব। তরুণদের আগ্রহী করে তোলা হবে। যেন যে যা–ই করুন না কেন, নাচটাকে যেন ধরে রাখেন,’ বলেন তাহমিনা।