‘রেমিট্যান্স–যোদ্ধারা যখন বিমানবন্দরে আসবেন, তাঁদের স্যার বলতে হবে’
শুটিংয়ের কারণে মাঝেমধ্যে দেশের বাইরে যান তরুণ অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান। আসা-যাওয়ার পথে বিমানবন্দরে যেমন মাঝেমধ্যে ভোগান্তি সহ্য করতে হয়েছে, তেমনি অন্য অনেকের ভোগান্তির গল্পও শুনেছেন। এমনও গল্প শোনা যায়, বিমানবন্দরে লাগেজের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হয়। তাই প্রবাসী রেমিট্যান্স–যোদ্ধাদের জন্য নিজের ভেতরকার আবেগের কথা ফেসবুকে প্রকাশ করলেন জোভান।
জোভান আজ রোববার দুপুরে তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রবাসী রেমিট্যান্স–যোদ্ধারা যখন বিমানবন্দরে আসবেন, তাঁদের স্যার বলে সম্বোধন করতে হবে। বিমানবন্দরে একজন সচিব যে সম্মান পান, তাঁর মতো সম্মান দিতে হবে প্রবাসী রেমিট্যান্স–যোদ্ধাদের।’
প্রবাসীদের প্রতি বিমানবন্দর কর্মকর্তাদের আচরণ কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়ে এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও তাঁর দেওয়া বক্তব্যে বিমানবন্দরে প্রবাসীদের সেবার বিষয়ে নির্দেশনামূলক কথা বলেছেন।
জোভানের কেন হঠাৎ করে এমন উপলব্ধি হলো—জানতে চাইলে বললেন, ‘ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে প্রবাসীদের ব্যাপারে কিছু একটা দেখছিলাম। আমাদের আরেক অভিনয়শিল্পী সহকর্মী আনন্দ খালেদও প্রবাসীদের নিয়ে একটা পোস্ট করেছে। আমারও মনে হলো, প্রবাসীদের অনুপ্রেরণা জোগাতে তেমন একটা পোস্ট করা যায়। কারণ, আমাদের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদানের কথা বলে শেষ করা সম্ভব না। তাঁরা আমাদের দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি।’
কথায় কথায় প্রথম আলোকে জোভান আরও বলেন, ‘শুটিংয়ের কারণে দেশের বাইরে যাওয়া-আসার পথে বিমানবন্দরে প্রবাসী শ্রমজীবী অন্য ভাই–বোনদের লক্ষ করেছি, অকারণে তাঁদের ভোগান্তিতে পড়তে হয় সবচেয়ে বেশি। তাঁদের ব্যাপারে যেন অনেক বেশি কঠোর থাকেন কর্মকর্তারা। হয়তোবা এমন কোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কেউ কেউ ঘটিয়েছেন, যার পুরো প্রভাব এসে পড়ে সবার ওপর, যা মোটেও উচিত নয়। প্রবাসীদের সেভাবে সম্মান দেওয়া হয় না, যা তাঁদের প্রাপ্য। বিশেষ করে দেখেছি, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যাঁরা যাওয়া–আসা করেন, তাঁদের এই ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয় বেশি। বিষয়টা এমন না যে তাঁদের স্যার স্যার করতে হবে। ব্যবহারটা যদি আন্তরিক হয়, সেটাই অনেক কিছু।’
জোভানের ফেসবুক পোস্টে বেশির ভাগই ইতিবাচক মন্তব্য এসেছে। আদিবা রহমান নামের একজন লিখেছেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশে এত স্যার বলার নিয়ম নেই। নিয়মকানুন ঠিক রেখে ভালো ব্যবহার আর ভালো সার্ভিস দিলেই যথেষ্ট।’
তাহমিনা তাসনিম নামের একজন লিখেছেন, ‘স্যার বলা থেকে সব সময় সুন্দর ব্যবহার করতে জানলেই হবে। আর হ্যাঁ, এত কষ্টে আনা জিনিসগুলো চুরি বা নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে, না পারলে এটার দায়ভার তাঁদের নিতে হবে, কারণ, ওই জিনিসগুলো অনেক কষ্টের, শখের।’