সেই ঘটনাই ফারুকের অভিনয়জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়
তখন সবে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়েন অভিনেতা ফারুক আহমেদ। সে সময় একবার স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠে ঝাড়ু দিয়েছিলেন। সেই ঘটনাই তাঁর অভিনয়জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। সেই স্মৃতি এখনো মুগ্ধ করে তাঁকে। গতকাল বিজয় দিবসে সেই ঘটনাই শোনালেন ফারুক আহমেদ।
এই অভিনেতা জানান, শৈশবের অনেকটা সময় তাঁর কেটেছে মানিকগঞ্জে। গ্রামের একটি স্কুলে পড়াশোনা করতেন। স্কুলে নিয়মিত নানা আয়োজন হতো। সেগুলো দেখে তিনি অভিনয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। স্কুলের অনেক আয়োজনেই যুক্ত হতে চাইতেন। কিন্তু বেশির ভাগ সময়ই দেখা যেত, তাঁকে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হতো না। ফল, অভিনয় কিংবা গানে তাঁর জায়গা হতো না। এ নিয়ে বেশ মন খারাপও হতো।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘স্কুলে অভিনয় রয়েছে, এমন কোনো আয়োজন থাকলেই আমাকে যুক্ত করার আবদার করতাম। বয়সে ছোট হওয়ায় আমাকে কেউ অভিনয়ে নিতে চাইত না। সবাই জানত আমার অভিনয়ে আগ্রহ আছে। পরে একদিন এক বড় ভাই জানান, আমি অভিনয়ে সুযোগ পাচ্ছি। আমাকে, দর্শকদের সামনে স্কুলের স্টেজে ঝাড়ু দিতে হবে। দর্শকদের সামনে ঝাড়ু দিতে দিতে এপার থেকে ওপার যেতে হবে। সেটাই অভিনয়। আমি তাতেই রাজি হয়ে যাই। সময়মতো মঞ্চে উঠে ঝাড়ু দিতেই সবাই আমার ঝাড়ু দেওয়া দেখে হাসাহাসি শুরু করল। আমি দারুণ মজা পেলাম।’
ছোট্ট একটি ঘটনা চতুর্থ শ্রেণিতে পড়া ফারুক আহমেদের অভিনয়ের ইচ্ছাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় আর সেই অর্থে অভিনয় করা হয়নি। পরে ১৯৮০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে পরিচয় হয় হুমায়ুন ফরিদীর সঙ্গে। তাঁর মাধ্যমেই মঞ্চে অভিনয় করতে থাকেন এই অভিনেতা। পুরোপুরি অভিনয়ে মনোযোগ দেন। ফারুক আহমেদ বলেন, ‘সেই যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে অভিনয় শিখতে শুরু করলাম, সিরিয়াস হলাম, এখনো সেই অভিনয়ের ধ্যানজ্ঞান নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।’