জনগণ ভোটে নির্ধারণ করবে কাদের পক্ষে তারা আছে, ফেসবুকে ফারুকী
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে অন্তবর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। অভ্যুত্থানের আগে যখন আন্দোলন চলছিল, তখন নানান বিষয়ে কথা বলতেন পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। নতুন সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে দুই মাস হতে চলছে। এই সময়েও বিভিন্ন ইস্যুতে ফারুকীর লেখালেখি থেমে নেই।
নিজের বিবেচনায় যেসবে অসংগতি দেখছেন, সেসব বিষয়ে তাঁর নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করা অব্যাহত রেখেছেন। এবার তিনি কথা বললেন সরকার পতন ও আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে। নিজের মতামত ব্যক্ত করতে বরাবরের মতো এবারও বেছে নিয়েছেন তাঁর ফেসবুক।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বিপ্লবের মালিকানা এখন অনেকের। কারণও আছে, যেহেতু বিপ্লবে অংশীদার ছিল অনেক। সবাই মনে করছে এই বিপ্লব তার। সুতরাং দেশটা তিনি বা তারা যেভাবে চাচ্ছে, সেভাবেই গোছাতে হবে, চলতে হবে। যেটা ফ্যাসিস্ট সরকারও মনে করত।’
ফারুকী তাঁর ফেসবুক পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘প্রিয় ভাই ও বোনেরা, ৫ আগস্ট কোনো বিশেষ মতাদর্শের পক্ষে কোনো রায় প্রদান করে নাই জনগণ! এটা পরিষ্কার মাথায় রাখা ভালো। ৫ আগস্ট জনগণ হাসিনার দুঃশাসন থেকে মুক্তির রায় দিয়েছে।’ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে এই নির্মাতা আরও বলেন, ‘এখন যাঁর যাঁর যা অ্যাজেন্ডা আছে, কী ধরনের সরকার বানাতে চান, দেশটাকে কী রকম করতে চান, এগুলো নিয়ে জনগণের কাছে যান। জনগণ ভোটে নির্ধারণ করবে কাদেরটার পক্ষে তারা আছে। ক্লিয়ার?’
পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সামাজিক বিভিন্ন ইস্যুতে যেমন সোচ্চার, তেমনই তিনি থেমে নেই নির্মাণ নিয়েও। কাজ করছেন বিজ্ঞাপনচিত্রের। কাজ করছেন নতুন কনটেন্টেরও। তবে এ বিষয়ে আপাতত কিছুই বলতে চাইছেন না পরিচালক। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে মুক্তির অনুমতি মিলছে না মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘শনিবার বিকেল’ ছবিটি।
এই ছবির ব্যাপারে সম্প্রতি ফারুকীর মতামত জানতে চাওয়া হলে তখন এভাবেই বলেছিলেন, ‘কোনো ছবিই আটকে রাখা যাবে না। এই যে ছবি আটকানোর সংস্কৃতি, মানুষের মুখ বন্ধ করার সংস্কৃতি, সংবাদমাধ্যমের গলা চেপে ধরার সংস্কৃতি, চলচ্চিত্র নির্মাতার গলা চেপে ধরার সংস্কৃতি—এসব সংস্কৃতি থেকে বাংলাদেশকে বের হয়ে আসতে হবে।’
‘শনিবার বিকেল’ ছবিতে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, পরমব্রত, ইয়াদ হুরানি, মামুনুর রশীদ, নাদের চৌধুরী প্রমুখ।