হাজার পর্বে ‘মাশরাফি জুনিয়র’
‘সব বাধা ডিঙিয়ে এক অসম্ভব স্বপ্নছোঁয়ার গল্প’ ট্যাগলাইন নিয়ে ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর দীপ্ত টিভিতে শুরু হয়েছিল মেগা সিরিয়াল ‘মাশরাফি জুনিয়র’। হাজার পর্ব ছুঁয়েছে ধারাবাহিকটি। আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে প্রচারিত হয়েছে ‘মাশরাফি জুনিয়র’-এর হাজারতম পর্ব। এর আগে দীপ্ত টিভির ‘মান অভিমান’ ও আরটিভির ‘অলসপুর’ ধারাবাহিক দুটি পেরিয়েছিল এই মাইলফলক ।
চার বছর ধরে এক নারী ক্রিকেটারের উত্থান-পতনের গল্প বলে যাচ্ছে ‘মাশরাফি জুনিয়র’। দীর্ঘ সময় ধরে দর্শকপ্রিয়তা আর সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে ইতিমধ্যে ধারাবাহিক নাটকটি স্থাপন করেছে অনন্যদৃষ্টান্ত। মণি নামের এক গ্রাম্য কিশোরী ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজার মতো হতে চায়। এ জন্য দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই ও নানা চড়াই-উতরাই পাড়ি দিয়ে স্বপ্নপূরণে অবিচল মেয়েটি। তাকে কেন্দ্র করে নাটকটির গল্প এগিয়ে যায়, তৈরি হয় নানা রহস্য, সন্দেহ, জটিল ও কুটিল পরিস্থিতি।
মোহনপুর গ্রামের দুই ভাই-বোন মণি আর মণ্ডার গল্প দিয়ে শুরু হয়েছিল ‘মাশরাফি জুনিয়র’-এর পথচলা। গল্পে এখন দেখা যাচ্ছে, ভাইকে হারিয়ে শহরে কাজ করতে আসা মণিকে ভাগ্যদোষে ফিরে যেতে হয় গ্রামে। তবে আয়ানের বন্ধুত্ব আর ভাইকে দেওয়া কথা রাখতে মনি আবার শহরে আসে। আয়ানকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েও নিজের পরিচয় খুঁজে পাচ্ছিল না মণি।
শাশুড়ি রুনার চোখরাঙানি আর নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে মণি এখন স্বপ্নপূরণের অপেক্ষায়। জাতীয় দলে ডাকের অপেক্ষায় আছে সে। দেশসেরা খেলোয়াড় হয়ে পুরো বিশ্বে নিজের পরিচয় মেলে ধরাই ‘মাশরাফি জুনিয়র’, অর্থাৎ মণি লক্ষ্য। মণি চরিত্রে নাটকটির কেন্দ্রীয় ভূমিকায় অভিনয় করছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরী সাফানা মণি। সে বলে, ‘আমি অনেক লাকি। “মাশরাফি জুনিয়র” আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। সেটা অভিনয় হোক বা ক্রিকেট। আমার প্রথম নাটকে দর্শকদের এত ভালোবাসা পাব, এটা আমার কল্পনারও বাইরে ছিল।’
নাটকটি বাণিজ্যিকভাবেও সফল উল্লেখ করে দীপ্ত টিভির প্রধান নির্বাহী ফুয়াদ চৌধুরী বলেন, নাটকটির দর্শক চাহিদা বেশ ভালো। দেশে এখন যতগুলো ধারাবাহিক চলছে, এর মধ্যে ‘মাশরাফি জুনিয়র’-এর দর্শক সর্বোচ্চ। অনলাইন থেকেও ভালো রেভিনিউ হচ্ছে। নাটকটির নির্মাণ খুবই চমৎকার। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিল্পীরাও বেশ ভালো কাজ করছেন।
আহমেদ খান হীরকের গল্পে ‘মাশরাফি জুনিয়র’ ধারাবাহিকটির চিত্রনাট্য লিখেছেন আসফিদুল হক। সংলাপে মো. মারুফ হাসান এবং পরিচালনায় করেছেন সাজ্জাদ সুমন। প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘মাশরাফি জুনিয়র’-এর নির্মাতা সাজ্জাদ সুমন বলেন, বাংলাদেশি টিভি দর্শকদের বড় একটি অংশ ভারতীয় টিভি চ্যানেল দেখেন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে বিপুল দর্শক দেশীয় চ্যানেল দীপ্ত টিভিতে ‘মাশরাফি জুনিয়র’ দেখছেন, কিংবা অন্য কোনো নাটক দেখছেন। বাংলা নাটকে এটা অবশ্যই একটি মাইলফলক।
বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ, গোলাম ফরিদা ছন্দা, চিত্রলেখা গুহ, সমু চৌধুরী, শহীদুল আলম সাচ্চু, রোজী সিদ্দিকী, দীপা খন্দকার, মনিরা মিঠু, শেহজাদ ওমর, মিতুল রহমান, মাইশা মাসফিকা তানিসা, আফ্রি সেলিনা, মিম চৌধুরী, জুয়েল জহুর, কাজী শিলা প্রমুখ। নাটকটি প্রতিদিন রাত সাড়ে আটটায় দীপ্ত টিভিতে প্রচারিত হয়। দীপ্ত টিভিতে প্রতিদিন রাত ৮টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হচ্ছে ধারাবাহিকটি।