কৃষকের ঈদ আনন্দ এবার মুক্তাগাছায়

‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ এর পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন শাইখ সিরাজসংগৃহীত

প্রতি ঈদেই গ্রামবাংলা থেকে শুরু করে শহরের সব শ্রেণির টেলিভিশন দর্শকের প্রিয় অনুষ্ঠান ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’। শাইখ সিরাজের পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানের ঈদুল আজহার পর্বটি ধারণ করা হয়েছে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার ঘাটুরি ঈদগাহ মাঠে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রামীণ আবহে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত প্রায় ১০ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে কৃষকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এবারের কৃষকের ঈদ আনন্দ আরও ব্যতিক্রমী, জমজমাট মজার সব খেলাধুলায় ভরপুর থাকবে।
এবার খেলাধুলার অংশটি ধারণের জন্য ময়মনসিংহকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ বলেন, ‘আদি কৃষি ঐতিহ্যের একটি জেলা ময়মনসিংহ।

পুরোনো ব্রহ্মপুত্র ও এর শাখা-উপশাখাকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল কৃষি–বাণিজ্যের এক অনন্য ক্ষেত্র। কৃষিসমৃদ্ধির হাত ধরেই এখানে বিকশিত হয়েছিল লোকসংস্কৃতির। যার স্বরূপ আমরা দেখি “মৈমনসিংহ গীতিকা”য়। কৃষি ঐতিহ্যের সে ধারা এখনো ধরে রেখেছেন এখানকার কৃষক।’

প্রতি ঈদেই গ্রামবাংলা থেকে শুরু করে শহরের সব শ্রেণির টেলিভিশন দর্শকের প্রিয় অনুষ্ঠান ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’
সংগৃহীত

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পরমাণু কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ নানা গবেষণা ও কৃষিশিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ময়মনসিংহে। ফলে ধান-পাটের পাশাপাশি নিত্যনতুন ফল-ফসলের চাষ বাড়ছে, খুব সহজেই আধুনিক কৃষির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন কৃষকেরা। দীর্ঘ সময় ধরে মাছ চাষের শীর্ষ স্থান দখলে রেখেছেন এই অঞ্চলের খামারিরা। কৃষকের ঈদ আনন্দে এই কৃষকদের জীবন-জীবিকা আর তাঁদের গল্পকথাই তুলে আনার চেষ্টা করেছি।’

চ্যানেল আইয়ে ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ প্রচারিত হয় ঈদের পরদিন বিকেল সাড়ে চারটায়। আসন্ন ঈদুল আজহায়ও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না।

চ্যানেল আইয়ে ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ প্রচারিত হয় ঈদের পরদিন বিকেল সাড়ে চারটায়
সংগৃহীত