মাইনাস ১৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপতে কাঁপতে ঠান্ডার অভিজ্ঞতা জানালেন তারকা দম্পতি
দেখতে দেখতে নাঈম–নাদিয়ার সংসার আট বছরে পড়ল এবার। বিশেষ এ দিনটি ও নতুন বছর উদ্যাপন করতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন এই দম্পতি। সেখানে ঘুরতে গিয়ে শীতের মধ্যে পড়তে হয়। তখন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশে তাপমাত্রা নেমেছিল মাইনাসে। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য তাপমাত্রা চেনা হলেও এই শীতে কাহিল হয়ে পড়েন নাঈম-নাদিয়া। সেই অভিজ্ঞতা তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের শীতে কাটানো এটাই প্রথম নয় নাঈম-নাদিয়া দম্পতির। এর আগেও বিভিন্ন দেশে ঘোরাঘুরি করেছেন, যেখানে মাইনাস ডিগ্রি তাপমাত্রা ছিল। বিশ্বের অনেক দর্শনার্থী শীতের সময়টাতে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বেছে নেন। শীতটা পছন্দ এই তারকা দম্পতির। তাঁদের পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শীতে কাঁপছেন নাঈম ও নাদিয়া। তাপমাত্রা পরিবর্তনে তাঁদের গলা বসে যায়। এ জন্য নিয়মিত গরম পানি সঙ্গে রাখতে হয়েছে। এর মধ্যে কাঁপতে কাঁপতেই তাঁরা ঠান্ডার অভিজ্ঞতা জানান।
নিউইয়র্ক, ফ্লোরিডাসহ বেশ কিছু রাজ্যের পছন্দের স্থান ঘুরে দেখেন। এর মধ্যে ডিজনিল্যান্ড ছিল তাঁদের জন্য সবচেয়ে বেশি পছন্দের স্থান। ঘোরাঘুরির প্রথম দিকে তাপমাত্রা কিছুটা স্বাভাবিক মনে হলেও পরে মাইনাসের মধ্যে ঘুরতে হয়। এর মধ্যে মাইনাস ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার অভিজ্ঞতা ভক্তদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নাদিয়া বলেন, ‘তাপমাত্রা মাইনাস ১৮ ডিগ্রিতে শীত কেমন থাকে। তাপমাত্রা মাইনাস ১৮ হলেও অনুভূত হচ্ছে মাইনাস ২৬–এর সমান। শীত কেমন একটু আপনাদের দেখাই। পানির এই ফোয়ারা দিয়ে পানি পড়ছে, কিন্তু তাপমাত্রা এত কম যে পানি পড়েই বরফ হয়ে গেছে। শীতে আমি তো রীতিমতো কাঁপছি। ভিডিও করতে পারছি না শীতে হাত কাঁপছে।’
এই সময় পাশ থেকে ভিডিওতে হাজির হন এফ এস নাঈম। তিনি বলেন, ‘বরফের মতো জমে যাচ্ছি আমরাও। এখানে খুবই ঠান্ডা। এখানে অবাক করার মতো ব্যাপার আমার কাছে মনে হয়েছে, সামনে একটি লেক আছে, সেটাও বরফে ঢেকে গেছে। এটা হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের মানুষদের নিত্য দেখা কিন্তু এমনটা আমি খুবই কম দেখেছি। এত ঠান্ডা যে বেশি সময় বাইরে থাকাই যায় না। সব মিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছি। এত ঠান্ডা যে একসময় মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছিল।’ ২০১৬ সালে এই দম্পতি বিয়ে করেন। বর্তমানে তাঁরা অভিনয় নিয়েই ব্যস্ত। ফেসবুকে নাদিয়া পোস্ট করেছেন আজ ঘোরাঘুরি শেষে ঢাকায় ফিরেছেন।