ঢাকা ও টাঙ্গাইলের যে দুই আসন থেকে মনোনয়ন কিনলেন অভিনেতা সিদ্দিক
অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান, সিদ্দিক নামেই পরিচিতি। অভিনয় দিয়ে পরিচিতির পর থেকে তিনি রাজনীতিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এর আগে গত জুলাই মাসে ঢাকা-১৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন নেওয়ার চেষ্টা করেও পাননি। এরপর কিছুদিন চুপ থাকলেও এবার জাতীয় নির্বাচনের আগে সক্রিয় হয়েছেন। জানালেন, আজ সোমবার ঢাকা ও ঢাকার বাইরে দুই আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।
দুপুরে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা হয় এই অভিনেতার সঙ্গে। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি কথার শুরুতেই বলেন, ‘আমি দীর্ঘ একটা সময় অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দর্শক আমাকে ভালোবাসেন। আমি তাঁদের জন্য কাজ করতে চাই। সেই ভাবনা থেকেই আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হচ্ছি। আজ আমি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। আমার এলাকা ও ঢাকার নেতা-কর্মীদের ভালোবাসা আমার সঙ্গে ছিল। আগামীকাল মনোনয়ন ফরম জমা দেব।’
কোন আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করছেন জানতে চাইলে সিদ্দিক বলেন, ‘আমি দুইটা আসনের জন্য মনোনয়ন তুলেছি। ঢাকা-১৭, সংসদীয় আসন ১৯০ (গুলশান বনানী ও ক্যান্টনমেন্ট, ভাসানটেক এলাকা ও টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর ও ধনবাড়ি) সংসদীয় আসন-১৩০। ফরম ওঠানোর সময় এলাকাবাসী ছাড়াও আমার সঙ্গে আরও অনেকেই ছিলেন। আমি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিলে সবাইকে নিয়ে নির্বাচনে করতে চাই। এখন সঠিকভাবে আগামীকাল মনোনয়ন জমা দেব। আমি সবার কাছে দোয়া চাই। কিছু করার সুযোগ চাই।’
অভিনেতা সিদ্দিকের জন্ম টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায়। এক যুগের বেশি সময় ধরে তিনি পরিকল্পনা করছেন নির্বাচন করবেন। সিদ্দিক এর আগে গণমাধ্যমে বলেন, ‘এলাকার মানুষ আমাকে অভিনেতা হিসেবে পছন্দ করেন। একটা সময় বুঝতে পারি সবাই আমাকে নেতা হিসেবেও দেখতে চান। দীর্ঘ সময় আমি এলাকার মানুষের জন্য কাজ করছি। আমি আরও বড় পরিসরে কাজ করতে চাই।’
সিদ্দিক ১৯৯৯ সাল থেকে আরামবাগ থিয়েটারের নিয়মিত কর্মী। মঞ্চে ‘রাজারগল্প’, ‘পেজগি’, ‘বলদ’সহ বেশ কিছু কাজ করেছেন। পরে তিনি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। তিনি সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০০৫ সালে দীপংকর দীপনের ‘রৌদ্র ও রোদেলার কাব্য’ নাটকের ‘কাউসা সিদ্দিক’ চরিত্র দিয়ে প্রথম নাটকে নাম লেখান।
পরে ‘কবি বলেছেন’ নাটকে অভিনয় করে অনেকের চোখে পড়েন। পরে ইফতেখার আহমেদ ফাহমি ও রেদওয়ান রনির ‘হাউসফুল’ নাটকে ‘সিদ্দিক’ নামে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। পরে ‘গ্র্যাজুয়েট’, ‘মাইক’ তাকে আরও পরিচিতি এনে দেয়। এরপর আর তাঁকে পেছনে তাকাতে হয়নি।