এক যুগ পর ফের পর্দায় দেখা দিচ্ছেন বাঙালি বলিউড তারকা শর্মিলা ঠাকুর

শর্মিলা ঠাকুর
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

এক যুগ পর ফের চলচ্চিত্রের পর্দায় দেখা দিচ্ছেন বাঙালি বলিউড তারকা শর্মিলা ঠাকুর। কলকাতার এই বাঙালি অভিনেত্রী তাঁর চলচ্চিত্র জীবন কলকাতা থেকে শুরু করলেও পরবর্তীকালে তিনি বলিউডের তারকা হয়ে মুম্বাইতে পাকাপাকি হয়ে যান। বিয়ে করেন ভারতের সাবেক ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মনসুর আলি খান পতৌদিকে। তাঁর ঘরে আছে তিন সন্তান। সাইফ, সোহা আর সাবা আলী খান। যদিও ২০১১ সালে তাঁর স্বামী পতৌদি মারা যান।

প্রথমবার প্রথা ভেঙে বিকিনি পরে রুপালি পর্দায় ভেসে ওঠেন নায়িকা শর্মিলা ঠাকুর

শর্মিলা ঠাকুর ২০১০ সালে হিন্দি ছবি ‘ব্রেক কে বাদ’-এ অভিনয় করে কিছুদিনের জন্য বিদায় নিয়েছিলেন চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে। এরপর আর ফেরেননি। দীর্ঘ এক যুগ পার করে ফিরলেন নতুন ছবি ‘গুলমোহর’কে সঙ্গী করে। তাই ২০১০ সালের ‘ব্রেক কা বাদ’–এর পর পর্দায় এলেন বলা যায়। এ ছবিতে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোন ও ইমরান খান। ছবিতে দীপিকার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ১২ বছর পর ফের দেখা যাবে শর্মিলাকে হিন্দি ছবি ‘গুলমোহর’–এ। ছবিটির শুটিং শেষ। আগস্ট মাসে মুক্তি পাওয়ার কথা।

শাড়ি ছেড়ে প্রথা ভেঙে বিকিনি পরেও সাবলীল ছিলেন ক্যামেরার সামনে শর্মিলা ঠাকুর
কোলাজ

তাই শর্মিলা আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, ‘একটা লম্বা বিরতির পর আবার ফিরে আসতে পারলাম পরিচিত মানুষের মাঝে, পরিচিত সেটে। ভালো লাগছে। “গুলমোহর” ছবির গল্প আমাকে মুগ্ধ করেছে। তাই আমি ছবির পরিচালক রাহুল চিত্তেলাকে ফিরিয়ে দিতে পারলাম না। যদিও এই ছবির বিভিন্ন চরিত্রে রয়েছেন মনোজ বাজপেয়ী, অমল পালেকর, সিমরন ঋষি বগ্গা, সুরুজ শর্মা প্রমুখ তারকারা। আশা করি এই ছবিটি দর্শকদের মন জয় করে নিতে সমর্থ হবে।’
শর্মিলা ঠাকুর এক শক্তিশালী বাঙালি তারকা। বয়স এখন ৭৫ বছর। জীবনের প্রথম ছবি সত্যজিৎ রায়ের ‘অপুর সংসার’। সেই ১৯৫৯ সালে নির্মিত হয় ছবিটি। আর এবার ২০২২ সালে করছেন ‘গুলমোহর’। শেষ ছবির আগপর্যন্ত ৮২টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মান পদ্মভূষণ পুরস্কার।

শর্মিলা ঠাকুর-মনসুর আলী খান পাতৌদি
ফাইল ছবি

তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘দেবী’, ‘নায়ক’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, ‘সীমাবদ্ধ’, ‘বর্ণালী’, ‘কাশ্মীর কি কলি’, ‘ওয়াকত’, ‘অনুসন্ধান’, ‘অনুপমা’, ‘অ্যান ইভিনিং ইন প্যারিস’, ‘মেরে হামদাম মেরে দোস্ত’, ‘আমনে সামনে’, ‘ইয়ে রাত ফির না আয়েগি’, ‘দিল আউর মহব্বত’, ‘সত্যকাম’, ‘অমর প্রেম’, ‘ডাকঘর’, ‘দাগ’, ‘আবিষ্কার’, ‘মৌসুম’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘নামকিন’, ‘আবার অরণ্যে’, ‘মান’, ‘ব্রেক কে বাদ’।
তিনি ভারতের চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যানও ছিলেন। পেয়েছেন তিনি ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসহ চলচ্চিত্রের নানা পুরস্কার।