আরেক মডেল-অভিনেত্রী ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
অভিনেত্রী পল্লবী দে, মডেল–অভিনেত্রী বিদিশার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পশ্চিমবঙ্গের আরেক অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঞ্জুষার স্বামী রামনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। রামনাথ পেশায় প্রতিষ্ঠিত চিত্রগ্রাহক।
শুক্রবার ভোরে দক্ষিণ কলকাতার কসবার নিজ বাভবন থেকে এই মডেল–অভিনেত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, স্বামীর সঙ্গে প্রচণ্ড ঝগড়া করে মঞ্জুষা গতকাল রাতে চলে এসেছিলেন কসবায় বাবার বাড়িতে। সকালে সেই বাড়ি থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মঞ্জুষার ঝুলন্ত দেহ। গতকাল স্বামীর সঙ্গে মঞ্জুষার তীব্র ঝগড়া হয়। ঝগড়ার পর মঞ্জুষা স্বামীর বেহালার বাড়ি থেকে চলে আসেন কসবার বিপি টাউনশিপের বাবার বাড়িতে।
জানা গেছে, মঞ্জুষার সঙ্গে সল্টলেকের এক তরুণের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই তরুণ নিয়মিত মারধর করতেন মঞ্জুষাকে। এরপরই মঞ্জুষা ওই তরুণের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। মাস দুয়েক আগে থেকে মঞ্জুষার সঙ্গে তাঁর স্বামীর সম্পর্কে চির ধরে।
মঞ্জুষার বাবা একজন সরকারি চাকরিজীবী। মঞ্জুষার এক ভাইও আছে। মঞ্জুষা থিয়েটার ও টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করতেন। এ ছাড়াও মডেলিংও করেছেন।
গতকাল মৃত্যু হওয়া নাগের বাজারের আরেক মডেল-অভিনেত্রী বিদিশা ছিলেন মঞ্জুষার বন্ধু। মঞ্জুষার সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল পল্লবী দেরও। মঞ্জুষার মা বাসন্তী নিয়োগি বলেছেন, গতকাল বিদিশার মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন মঞ্জুষা।
তিনি বারবার বলছিলেন, ‘বিদিশা যেখানে গেছে, সেটা শান্তির জায়গা। আমিও ওই জায়গায় যেতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘রামনাথ মঞ্জুষাকে মডেলিং ও অভিনয়জগৎ ছেড়ে দেওয়ার চাপ দিতেন। এই নিয়ে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। গতকাল মঞ্জুষা স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে আমাদের বাড়িতে আসার পর জামাই এসে মঞ্জুষাকে নিতে চাইলেও মঞ্জুষা রাজি হয়নি। আজ ভোরে ওকে পাই ঝুলন্ত অবস্থায়।’
এদিকে গত বৃহস্পতিবার আত্মহত্যা করা আরেক মডেল–অভিনেত্রীর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী বিদিশা আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন মডেল। বিদিশা (২১) অভিনয়ের পাশাপাশি চার বছর ধরে মডেল হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপনেও কাজ করছিলেন।
এর আগে ১৫ মে কলকাতার গরফায় আরেক অভিনেত্রী পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামার পর পল্লবীর প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করেছে। সাগ্নিক এখন কারাগারে। সাগ্নিক পেশায় একজন সিনেব্লগার। পাশাপাশি ডেটা এন্ট্রির কাজও করেন।