এমনভাবে চরিত্র হয়ে ওঠো যে চিনতে পারা ভার, চঞ্চলকে স্বস্তিকা

চঞ্চল চৌধুরী ও স্বস্তিকা ব্যানার্জি। কোলাজ

ওটিটির সুবাদে ওপার বাংলাতেও দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের ছোট ও বড় পর্দার অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।  আজ এই অভিনেতার জন্মদিন। সহশিল্পীরা তো আছেনই, দেশ ও দেশের বাইরের অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী ও ভক্তরা নানাভাবে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তাঁদের পছন্দের এই শিল্পীকে। ওপার বাংলার আলোচিত অভিনেত্রী স্বস্তিকা ব্যানার্জিও জন্মদিনে চঞ্চল চৌধুরীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। চঞ্চল অভিনীত কালপুরুষ, তাগদীর, আয়নাবাজি ও মনোগামী কনটেন্টগুলোর পোস্টার যুক্ত করে শনিবার দুপুরে তাঁর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লম্বা একটি স্ট্যাটাস লিখেছেন কলকাতার এই অভিনেত্রী।

স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘আজ একটা খুব স্পেশাল দিন। না কলকাতায় আজ ভোট, সেটির জন্য স্পেশাল নয় বা আমার নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাদ পড়েছে, সেটির জন্যও নয়। আমরা আজকাল বলি, কনটেন্ট ইজ কিং। ঠিক। কিন্তু সেই রাজার ওপর মহারাজ আছেন, রাজাধিরাজ আছেন, সেই মহারাজের আজ জন্মদিন। নিজের কর্মজীবনে যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন, আমি তাঁর একটা কাজও মিস করি না। ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো দেখার মধ্যে যে উত্তেজনা, সেটি কি আর ছাড়া যায়? তাই স্ট্রিমিং শুরু হলেই আমি টিভির সামনে। রাত জাগতে হলেও দেখা না শেষ করে উঠি না।’
স্বস্তিকা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘চরকি’ ও ‘হইচই’–কে ধন্যবাদ জানিয়ে  লিখেছেন, ‘চরকি ও হইচইকে অশেষ ধন্যবাদ। এরা না থাকলে এমন প্রকাণ্ড এক শিল্পীর কাজ না দেখে মরতে হতো। কী বিশাল একটা ক্ষতি হতো সেটা।’ দুটি লাল গোলাপের ইমোজিতে স্বস্তিকা আরও লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন চঞ্চল চৌধুরী। তোমার আজ এবং আগামী শুভ হোক, আলো হোক।’

চঞ্চলকে নিয়ে এই অভিনেত্রী স্ট্যাটাসে আরও উল্লেখ করেছেন, ‘তোমার বাঁ দিকে তাকালে বোঝা যায় না তোমার ডান দিকটা কেমন, এমনভাবে চরিত্র হয়ে ওঠো যে চিনতে পারা ভার। আরও ভালো কাজের অপেক্ষায় ছিলাম, আছি, থাকব।’

চঞ্চল চৌধুরী ও স্বস্তিকা ব্যানার্জি। কোলাজ

নিজে চঞ্চলের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় অনুরাগী উল্লেখ করে স্ট্যাটাসের শেষাংশে স্বস্তিকার বক্তব্য, ‘আমি অভিনেতা হিসেবে খুব লোভী, সব ভালো কাজ নিজে করতে চাই। দর্শক হিসেবেও লোভী, সব ভালো কাজ দেখতে চাই, আর সেই কাজ তোমার হলে তো কথাই নেই। তুমি একটা গোটা ইনস্টিটিউশন। রোজ শিখি অভিনয়ের নতুন সব দিকদিগন্ত। অফুরান ভালোবাসা নিও— আমার প্রিয় শিল্পী। জেনো আমিই তোমার সবচেয়ে বড় অনুরাগী।’

তবে স্বস্তিকার স্ট্যাটাসের নিচে সাড়া দিতে ভোলেননি চঞ্চল চৌধুরীও। তিনি মন্তব্যে লিখেছেন, ‘অনেক অনেক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা। তুমি যেভাবে লিখলে, আমি নিজেকে ওভাবে দেখিনি...। প্রশংসাটা একটু বেশিই করলে। তবে ভালোই লাগছে। আরেকটা কথা বলে রাখি, আমিও তোমার অভিনয়ের ভক্ত।’

চঞ্চল চৌধুরী। খালেদ সরকার

এ ব্যাপারে চঞ্চল প্রথম আলোকে জানান কলকাতায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে বেশ কয়েকবার স্বস্তিকার সঙ্গে দেখা হয়েছে, কাজ নিয়ে কথাও হয়েছে তাঁর। এতটুকুই। তিনি বলেন, ‘সেই পরিচয় থেকে এভাবে আমাকে, আমার অভিনয়কে সম্মান, ভালোবাসা দিয়েছেন এতে আমি অনেকটাই আবেগী হয়েছে। এভাবে নির্দ্বিধায় একজন শিল্পীকে নিয়ে আরেকজন শিল্পী কথা বলতে পারেন, এটি শিল্পীর গুণ। আমরা তো নিজেরাই নিজেদের, নিজেদের কাজকে সম্মান করি না। সেখানে স্বস্তিকার উদারতা আমাকে মুগ্ধ করেছে।’