ঢাকায় পাওলি দাম, দেখে নিন শুটিংয়ের ফাঁকে তোলা ১০টি ছবি

শুটিংয়ে এখন বাংলাদেশে আছেন ভারতীয় তারকা পাওলি দাম। শুটিংয়ের অবসরে গত বুধবার দুপুরে প্রথম আলোর আয়োজনে ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ফটোসেশনে অংশ নেন তিনি। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কবির হোসেনের তোলা ১০টি স্থিরচিত্র।
১ / ১০
বাংলাদেশে পাওলি দাম শেষবার অভিনয় করেন ‘সত্তা’ ছবিতে। ২০১৭ সালে ছবিটি মুক্তি পায়। এরপর বাংলাদেশের আর কোনো ছবিতে দেখা যায়নি তাঁকে।
২ / ১০
‘সত্তা’ ছবিতে পাওলি অভিনয় করেন শাকিব খানের বিপরীতে। জানা গেছে যে ‘সত্তা’ মুক্তির পর একাধিক ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাবও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটে–বলে মেলেনি বলে কাজ করা হয়নি।
৩ / ১০
‘সত্তা’ ছবির পর আবার বাংলাদেশের ছবির শুটিং শুরু করলেন পাওলি। তাঁর এবারের ছবির নাম ‘নীল জোছনা’। বানাচ্ছেন ফাখরুল আরেফীন খান। এই ছবিতে পাওলি অভিনয় করছেন পার্থ বড়ুয়া, এফ এস নাঈম, ইন্তেখাব দিনার ও মেহের আফরোজ শাওনের সঙ্গে।
৪ / ১০
‘পাওলি’ শেষবার ঢাকায় আসেন কোভিডের আগে, দুই বাংলার একটা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজনে। ভারত-বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পুরস্কারের সেই আয়োজনে আসার পরও কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। তবে কোভিডের কারণে সেসব ছবি করা হয়ে ওঠেনি।
৫ / ১০
পাওলি জানান, কোভিডের পর তাঁর হিন্দি কাজের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ওই সময় তিনি ওটিটিতে হিন্দি কাজ বেশি করেছেন।
৬ / ১০
পাওলি বলেন, ‘কোভিডের সময় ওটিটির একটা বড় প্রভাবও শুরু হলো। কারণ, আমরা তো থিয়েটারে যেতে পারছিলাম না। সবাই ওটিটির কাজ দেখছিলেনও। আমিও করলাম “বুলবুল”, “রাত বাকি হ্যায়”, “দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান মার্ডার”, “কর্মযুদ্ধ”, “চার্লি চোপড়া দ্য মিস্ট্রি অব সোলাং ভ্যালি”। কথা প্রসঙ্গে পাওলি জানান, ফিচার ফিল্ম করা হয়নি। বলিউডে অবশ্য তখন ফিচার ফিল্ম হচ্ছিলও কম।
৭ / ১০
‘নীল জোছনা’ ছবিতে কাজ করা প্রসঙ্গে পাওলি বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো লাগার কারণ হলো জনরা। সত্যি বলতে, এই ছবিতে অভিনয়ে রাজি হওয়ার একটাই কারণ, প্যারাসাইকোলজি। প্যারালাল ইউনিভার্স নিয়ে একটা গল্প হচ্ছে, যেমনটা বাংলায় খুব কম হয়। “নীল জোছনা” হচ্ছে প্যারালাল ইউনিভার্স প্যারাসাইকোলজি নিয়ে। অদ্ভুত শোনাবে যে কোভিডের পর এ ধরনের বিষয় নিয়ে অনেক কাজ দেখছিলাম। পড়ছিলামও। এ সময়ই আরেফীন আমাকে এই ছবির কথা বলেন। কাকতালীয় ব্যাপার! এভাবেই হয়তো কাজ হয়, যেটা হওয়ার। গত বছর আগস্ট-সেপ্টেম্বরে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলেন, এখন শুটিং করছি।
৮ / ১০
এদিকে দীর্ঘ বিরতির পর ঢাকায় কাজ করার অভিজ্ঞতাটাও দারুণ বলে জানান পাওলি দাম। তিনি বলেন, ‘বিষয়টা একদম অন্য রকম। এই ছবিতে গ্রিন স্ক্রিনের বিপরীতে অনেক শুটিং হচ্ছে, যেটা আমাদের ছবির ক্ষেত্রে নিয়মিত নয়। প্রযুক্তিগত পুরো ব্যাপারটি একেবারেই নতুন। জনরাও নতুন। ভালো লাগছে এই ভেবে যে ছবিতে বাংলাদেশের খুব নামকরা কয়েকজন শিল্পী আছেন।’
৯ / ১০
পাওলি মনে করেন যে দুই বাংলার আরও নিয়মিত কাজ হওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আরও একজোট হতে পারলে, যেমন “সত্তা”য় শাকিব আর আমি একসঙ্গে কাজ করলাম, এরপর যদি আরও কাজ করতাম, তাহলে বাধার দেয়াল আরও তাড়াতাড়ি ভাঙত। সুযোগের যেমন ব্যাপার আছে, উদ্যোগেরও ব্যাপার আছে। দুই বাংলার উদ্যোগের খুব প্রয়োজন।’
১০ / ১০
ঢাকা ও কলকাতার শিল্পীদের আসা–যাওয়ার মাধ্যমে কাজে বৈচিত্র্য আসা উচিত বলে মনে করেন পাওলি দাম। তাঁর মতে, অসাধারণ কনটেন্টের জন্য অভিনয়শিল্পীদেরর পাশাপাশি লেখকদেরও আসা–যাওয়া করা উচিত। পরিচালকদেরও উচিত। এখানকার পরিচালক, লেখক ওখানে গিয়ে কাজ করুন; ওখানকার পরিচালক, লেখকেরাও এখানে আসুন। শুধু অভিনেতা-অভিনেত্রীরা নন, বদলটা কিন্তু তখনই হবে, যখন ক্যামেরার পেছনের মানুষদেরও যাতায়াত হবে।