কলকাতার শিল্পীদের বরিশালের আঞ্চলিক ভাষা শেখালেন পরীমনি
প্রথমবার কলকাতার ছবিতে কাজ করছেন ঢাকাই ছবির নায়িকা পরীমনি। নতুন খবর, গত সোমবার ‘ফেলুবকশী’ নামে সিনেমাটিতে পরীর অংশের শুটিং সন্ধ্যায় শেষ হয়ে গেছে। মূলত দুটি ধাপে তাঁর কাজ শেষ হয়। সিনেমাটিতে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেত্রী।
শুটিং শেষ হওয়ার পর কলকাতা থেকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে পরীমনি বলেন, ‘আমার অংশ ধরেই ছবির প্রথম ধাপের কাজ শুরু হয়। প্রথম ধাপে আমার কাজ প্রায় শেষও হয়। অল্প একটু কাজ বাকি ছিল, দুই দিনের জন্য এসে শেষ করলাম।’
শেষ করার পর কাজটি নিয়ে তাঁর ভালো লাগার কথা জানিয়ে পরীমনি বলেন, ‘যেকোনো নতুন ছবি, নতুন গল্প, নতুন চরিত্র, নতুন জায়গায় একধরনের আনন্দ নিয়েই কাজ শুরু হয়। তবে সেই কাজ ঠিকঠাক শেষ করতে পারলে আনন্দ আরও দ্বিগুণ হয়।’
নতুন সহশিল্পী কিংবা নতুন পরিবেশে কাজটি কতটুকু উপভোগ করতে পারলেন, জানতে চাইলে পরী বলেন, ‘নতুন জায়গা হলেও আমরা একই ভাষাভাষীর। শুধু মাঝখানে একটা কাঁটাতারের দেয়াল। নাম এপার বাংলা ওপার বাংলা। ফলে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সময় লাগেনি। তাঁদের সঙ্গে সহজে মিশতে পেরেছি। কাজটি করা সহজ হয়েছে। ভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ হলে হয়তো একটু সময় লাগত।’
তাঁদের সঙ্গে কাজের ক্ষেত্রে তেমন কোনো পার্থক্য চোখে পড়েছে কি—এমন প্রশ্নে এই নায়িকার উত্তর, ‘তেমন কোনো পার্থক্য নাই। প্রায় ১৪ দিন কাজ করলাম, পার্থক্য শুধু একটা জায়গায়, আমরা বেশি আবেগপ্রবণ, তাঁরা বেশি পেশাদার।’
কাজটি করে দারুণ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন পরীমনি। বলেন, ‘একটা সময় আমার মনেই হয়নি আমি অন্য পরিবেশে, অন্য দেশের শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করছি। পরিচালক থেকে শুরু করে সহশিল্পী সোহম দাদা, মধুমিতা সরকাররা আমার দেশীয় সহশিল্পীদের মতোই মনে হয়েছে। কাজ, কাজের ফাঁকে আড্ডা, খুনসুটি—দারুণ সময় কেটেছে।’
পরী জানান, খুনসুটি করতে গিয়ে একে অপরকে পচিয়েছেনও তাঁরা। বলেন, ‘আমি বলেছি, তোমাদের চিত্রনাট্যে তোমরা যখন সংলাপ দাও, উচ্চারণ ভুলভাল মনে হয়। বাংলাটা শুনতে কেমন যেন লাগে। দেখ, আমরা কত সুন্দর করে বাংলা উচ্চারণ করি। এসব বলে পুরো সেট হাসিয়েছি। আমাদের দেশের কোনো এক অঞ্চলের প্রচলিত সংলাপ “ডাইলে লবণ দিছো, না দেবা?” এই বলে ওখানকার আমার এক সহশিল্পী আমাকেও পচিয়েছে। হা হা হা...।’
পরীমনি আরও বলেন, ‘ওখানকার অনেক মানুষের আদি বাড়ি বাংলাদেশের বরিশাল, ফরিদপুরে। আমি এখন ওদের বরিশাইল্লা আঞ্চলিক ভাষা শেখাচ্ছে। ‘ও মোনু, এম্মি আইয়ো’। এটি শিখিয়েছি। শেখাতে গিয়ে খুব মজা হয়েছে। শেখানোর পর যখন এই বাক্য ওদের মুখে শুনি, হাসতে হাসতে মরি।’
‘ফেলুবকশী’ সিনেমাটি পরিচালনা করছেন দেবরাজ সিনহা।