যাঁকে ছাড়া হয়তো করাই যেত না ‘পথের পাঁচালী’
সত্যজিৎ রায় ‘পথের পাঁচালী’ নির্মাণ করে কী অর্জন করেছেন, দুনিয়ার সবাই তা জানে—নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে বড় বড় ন্যারেটিভের মাঝে ‘ছোট’, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনেক সময় ঢাকা পড়ে যায়। যদিও সেই ছোট বিষয়টির অভাবে পুরো বিষয়টি ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়। ‘পথের পাঁচালী’র নির্মাণে তেমনই ছোট ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল বৃদ্ধা ইন্দির ঠাকরুনের চরিত্র। এই চরিত্রে কাকে নেওয়া হবে, তা নিয়ে গলদঘর্ম হওয়ার জোগাড় হয়েছিল সত্যজিৎ রায়ের। কী গুরুত্ব এই বৃদ্ধা ইন্দির ঠাকরুন চরিত্রের?
‘পথের পাঁচালী’ দেখার পর দর্শকের মনে যে রেশটা থেকে যায়, তা হলো করুণ রস। দীর্ঘ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানে বাংলার গ্রামাঞ্চল যে রিক্ত ও দীর্ণ হয়ে পড়েছিল, সেই বাস্তবতায় মানুষের বঞ্চনা ও অসহায়ত্বজনিত করুণ রস। এই অসহায়ত্ব ও বঞ্চনা ফুটিয়ে তোলার জন্য সবচেয়ে কার্যকর চরিত্র ইন্দির ঠাকরুন। তাঁর যৎসামান্য সম্বল, সারা শরীরে দারিদ্র্যের নির্মম কশাঘাত এবং শেষ বয়সে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া—সবকিছুই সে কথা বলে। সত্যজিৎ রায় আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, এই ছবিতে মেকআপ ব্যবহার করা হবে না—সবকিছুই হবে বাস্তব। ফলে অপু, দুর্গা, হরিহর বা অন্যান্য চরিত্র করার জন্য গল্পের সঙ্গে মানানসই অভিনেতা-অভিনেত্রী পাওয়া গেলেও চোয়াল ভাঙা ও কুঁজো হয়ে যাওয়া বৃদ্ধাকে কোথায় পাওয়া যায়, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়। তিনি নিজেই বলেছেন, ‘পথের পাঁচালী’র কাজ শুরু হওয়ার পর তিনি সেভাবে ভেবে দেখেননি, এই ইন্দির ঠাকরুনের চরিত্রে অভিনয় করার মতো জুতসই অভিনেত্রী আদৌ পাওয়া যাবে কি না। পাওয়া না গেলে এই ছবি হয়তো শেষমেশ করাই সম্ভব হতো না।
দুর্গা, হরিহর বা অন্যান্য চরিত্র করার জন্য গল্পের সঙ্গে মানানসই অভিনেতা-অভিনেত্রী পাওয়া গেলেও চোয়াল ভাঙা ও কুঁজো হয়ে যাওয়া বৃদ্ধাকে কোথায় পাওয়া যায়, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়।
‘পথের পাঁচালী’র মূল উপন্যাসের প্রথম বর্ণিত দৃশ্য এ রকম: ‘পূর্বদিন ছিল একাদশী। হরিহরের দূর সম্পর্কের দিদি ইন্দির ঠাকরুন সকালবেলা ঘরের দাওয়ায় বসিয়া চালভাজার গুঁড়া জলখাবার খাইতেছে। হরিহরের ছয় বৎসরের মেয়েটি চুপ করিয়া পাশে বসিয়া আছে...মাঝে মাঝে ক্রমশূন্যায়মান কাঁসার জামবাটির দিকে হতাশভাবে চাহিতেছে।...ইন্দির ঠাকরুন মুঠার পর মুঠা উঠাইয়া পাত্র নিঃশেষ করিয়া ফেলিয়া খুকির দিকে চাহিয়া বলিল, “ও মা, তোর জন্যে দুটো রেখে দেলাম না। এই দ্যাখো।”’
ছবিতে হুবহু এ দৃশ্যই পাওয়া যায়। তারপর সেই বিখ্যাত শটটি আসে: দুর্গা তার কোঁচড় থেকে একটি পেয়ারা নিয়ে দেয় ইন্দির ঠাকরুনকে এবং পরিণামে ইন্দিরের সেই লুব্ধ ও স্নেহের চাহনি। চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের অনেকে বলেন, পৃথিবীর চলচ্চিত্রে যতগুলো বিখ্যাত টু শট কম্পোজিশন আছে, এটি তার মধ্যে অন্যতম।
সত্যজিৎ রায়ের ভাষ্যেই জানা যায়, এই চলচ্চিত্রের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল ইন্দির ঠাকরুনের চরিত্রে জুতসই কাউকে খুঁজে পাওয়া। এই চরিত্রে যিনি অভিনয় করবেন তাঁকে সত্তরোর্ধ্ব ও ভাঙা চোয়াল আর কুঁজো শরীরের মানুষ হতে হবে; সেই সঙ্গে সংলাপ ঠিকঠাক বলার মতো স্মৃতিশক্তি এবং সারা দিন আউটডোর শুটিংয়ের শারীরিক ধকল সহ্য করার মতো ক্ষমতা থাকতে হবে।
মূলত ইন্দির ও দুর্গা গ্রামবাংলার অবহেলিত একই নারীর দুটি রূপ। একটি বার্ধক্যের, অন্যটি শৈশবের (ও পরে কৈশোরের)। এদের চিত্রকল্প একই সূত্রে গাঁথা। এই চিত্রকল্পের মূল সূত্রটি বিভূতিভূষণই তাঁর গ্রন্থে দুর্গার বর্ণনায় দিয়ে গেছেন—‘বিপন্ন অপ্রতিভ ভঙ্গি।’ বিষয়টি হলো, দর্শক কি বারবার ছবি দেখতে দেখতে দুর্গা ও ইন্দিরের মুখের চাহনিতে বা চলাফেরার মধ্যে এই ‘বিপন্ন অপ্রতিভ ভঙ্গি’ দেখে সমবেদনায় কাতর হন না? চলচ্চিত্রে এভাবে দুটি চরিত্রের অভিনয় ও ভাবভঙ্গি চলাফেরার মধ্যে একটি সূত্রকে (এখানে ‘বিপন্ন অপ্রতিভ ভঙ্গি’) চলচ্চিত্রের ভাষায় প্রকাশ করে দুটি চরিত্রের আন্তসম্পর্ককে প্রকাশ করা সম্ভব। মূল সূত্রটি পরিচালক লেখকের কাছ থেকে পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তাকে দৃশ্যকল্পে নিয়ে আসতে তিনি অনেক ক্ষেত্রে নিজের কল্পনাশক্তি যে ব্যবহার করেছেন, তা বলাই বাহুল্য।
চলচ্চিত্রে ইন্দির ঠাকরুনের দারিদ্র্যের যে করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে, তা অনেকাংশে এর মূল সুর তৈরি করে দেয়। সেটা হলো, মনুষ্য পদবাচ্য এই কতিপয় প্রাণীর অসহায়ত্ব, যেখানে জীবনময়তা ও প্রকৃতির সান্নিধ্য আছে ঠিকই, কিন্তু পদে পদে আছে অসহায়ত্ব, বঞ্চনা, অনিশ্চয়তা বা রোগশোকের ভীতি। মানুষ যখন-তখন রোগে ভুগে মরে যেত। যেমন দুর্গা। সেই সঙ্গে বাঁশঝাড়ের মধ্যে ইন্দির ঠাকরুনের মৃত্যুর করুণ দৃশ্য এ অনুভূতিকে যেন আরও তীব্র করে তোলে। নিশ্চিতভাবে দর্শকের চোখ ভিজে ওঠে এই ভেবে, ইশ্, মানুষ কতটা অসহায় হতে পারে। ফলে সত্যজিৎ রায় যে বলেছেন, ইন্দির ঠাকরুনের চরিত্রে জুতসই কাউকে না পেলে হয়তো এ ছবিই হতো না, তা মোটেও অতিশয়োক্তি নয়।
বিভূতিভূষণের আরও অনেক গল্পে গ্রামবাংলার মানুষের দীর্ঘ রোগভোগের ঘটনা পাওয়া যায়। তা অবশ্য ভিন্ন গল্প, আরেক দিন তা করা যাবে।
সত্যজিৎ রায়ের ভাষ্যেই জানা যায়, এই চলচ্চিত্রের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল ইন্দির ঠাকরুনের চরিত্রে জুতসই কাউকে খুঁজে পাওয়া। এই চরিত্রে যিনি অভিনয় করবেন তাঁকে সত্তরোর্ধ্ব ও ভাঙা চোয়াল আর কুঁজো শরীরের মানুষ হতে হবে; সেই সঙ্গে সংলাপ ঠিকঠাক বলার মতো স্মৃতিশক্তি এবং সারা দিন আউটডোর শুটিংয়ের শারীরিক ধকল সহ্য করার মতো ক্ষমতা থাকতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, অভিনয় জানতে হবে। বয়স ছিল এখানে সবচেয়ে বড় বাধা।
পাওয়া গেল তাঁকে
যাহোক, মুশকিল আসান করে দেন রেবা দেবী, যিনি ‘পথের পাঁচালী’তে সেজ ঠাকরুনের চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনিই এই চরিত্রের জন্য চুনিবালার সন্ধান দেন, যাঁর মেয়ে নিভাননী দেবীও অভিনয় করতেন।
সত্যজিৎ রায় চুনিবালার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য গিয়ে দেখেন, বিভূতিভূষণের বর্ণনার সঙ্গে তিনি একদম খাপে খাপে মিলে যান। এরপর চুনিবালা দেবীর স্মৃতিশক্তি কেমন তা পরখ করার জন্য সত্যজিৎ রায় জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনি কি ছড়া জানেন? কবিতা আবৃত্তি করতে পারেন?’ জবাবে চুনিবালা দেবী যা শোনান তাতে সত্যজিৎ রায়ের নতুন অভিজ্ঞতা হয়। তিনি বলেন, শিশুদের ঘুমপাড়ানি ছড়া ‘ঘুমপাড়ানি মাসি–পিসি মোদের বাড়ি এসো’র বড়জোর ১০ থেকে ১২ লাইন তিনি শুনেছেন। কিন্তু চুনিবালা দেবী বিস্ময়করভাবে এই ছড়ার দীর্ঘতর এক ভার্সন আবৃত্তি করে শোনান। সত্যজিৎ রায়ের মনে হলো, তিনি সম্ভবত এই ছড়ার মূল ভার্সন আবৃত্তি করেছেন।
এরপর সত্যজিৎ রায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করেন, ‘এখান থেকে ভোর ৬টায় রওনা হয়ে ১৫ মাইল দূরে গ্রামে গিয়ে শুটিং করে আবার সন্ধ্যাবেলা সেই ১৫ মাইল পথ মোটরে ফিরে আসতে পারবেন?’ চুনিবালা দৃঢ়তার সঙ্গে উত্তর দেন, ‘খু-উ-ব’। এরপর সত্যজিৎ রায়ের মনে আর দ্বিধা থাকল না।
স্পিরিটের মিল
সত্যজিৎ রায়ের কাজের স্পিরিটের সঙ্গে চুনিবালা দেবীর স্পিরিট একদম খাপে খাপে মিলে যায়। চুনিবালা দেবী একদিন সত্যজিৎকে বলেছিলেন, ‘আপনারা যখন তরুণীকে মেকআপ করে বুড়ি না সাজিয়ে আমাকে বেছে নিয়েছেন, তখনই বুঝেছি কোন দিকে আপনাদের ঝোঁক।’
সত্যজিৎ রায় যে অপেশাদার অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের দিয়ে আউটডোরে শুট করে বাস্তবধর্মী থাকতে চেয়েছেন, চুনিবালাও ঠিক তাই। আরেকটি ঘটনা থেকে তা আরও পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়।
বিষয়টি হলো, গল্পে ইন্দিরের স্বভাব ছিল ছেঁড়াফাড়া শাড়িতে গিঁট বেঁধে চালিয়ে নেওয়ার। অবশ্য স্বভাব বলা চলে না; এ ছাড়া তাঁর উপায়ও ছিল না। ইউনিট থেকে চুনিবালাকে একটা ছেঁড়া থান দেওয়া হলো। বলা হলো, ‘আপনি ইচ্ছেমতো গেরো বেঁধে ছিদ্রগুলোর একটা ব্যবস্থা করে নেবেন।’
কিছুদিন কাজের পর ছেঁড়া শাড়িটির এমন হাল হলো যে ওটা আর পরার মতো থাকল না। একদিন সত্যজিৎ রায় শুনলেন, চুনিবালা কাকে যেন বলছেন, ‘এ কাপড়ের যে দশা, এতে লজ্জা ঢাকা যায় না।’ তড়িঘড়ি করে আরেকটা থান এনে ছেঁড়ার পরিমাণ খানিকটা কমিয়ে তাঁকে দেওয়া হলো। কিন্তু ইন্দিরের বেশে পরদিন যখন চুনিবালা সেটে এলেন তখন নতুন নয়, তাঁর পরনে পুরোনো থানটাই—এমনই বাস্তবধর্মিতা ছিল এই অসাধারণ বৃদ্ধার। তিনি কেমন অভিনয় করেছেন, তা নিশ্চয়ই আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
চলচ্চিত্রের প্রয়োজনে সত্যজিৎ রায় ‘পথের পাঁচালী’র মূল গল্প থেকে অনেক সময় সরে এসেছেন, সে বিষয়গুলোও চুনিবালা লক্ষ করতেন। একটি দৃশ্য নিয়ে অবশ্য তিনি আপত্তি তুলেছিলেন। সেটা হলো, ইন্দির ঠাকরুনের মৃত্যু দৃশ্য। গল্পে আছে ইন্দির ঠাকরুন মণ্ডপের পাশে মারা গিয়েছিলেন, কিন্তু চলচ্চিত্র দেখা যায় তিনি একটি বাঁশঝাড়ের মধ্যে দুই হাঁটুর মাঝে মাথা গুঁজে মারা যান এবং তা বসা অবস্থায়। ইন্দির ঠাকরুনের আপত্তির জায়গা ছিল এখানে যে গল্পে তিনি তো একজন ধার্মিক নারী; ফলে মণ্ডপের পাশে মারা যাওয়াটা যথার্থ হয়। কিন্তু সত্যজিৎ রায় তাঁকে বোঝালেন, বাঁশঝাড়ের মধ্যে দুই শিশু যখন তাঁকে মৃত অবস্থায় আবিষ্কার করবে, তখন চলচ্চিত্রে যে আবেগ তৈরি হবে, তা মণ্ডপের পাশে মৃত্যু হলে তৈরি করা সম্ভব নয়।
দৃশ্যটি ছিল এ রকম: দুর্গা তাকে বাঁশঝাড়ের মাঝে আবিষ্কার করে, যদিও প্রথম সে মনে করেছিল, ইন্দির ঠাকরুন দুই হাঁটুর মাঝে মাথা গুঁজে ঘুমিয়ে আছেন। এরপর দুর্গা তাঁর গায়ে হাত দিয়ে ঝাঁকি দিলে তাঁর শরীরটা একপাশে কাত হয়ে পড়ে যায়। এ দৃশ্যটি বাস্তবসম্মতভাবে ফুটিয়ে তোলার ভার ছিল একমাত্র চুনিবালা দেবীর। তিনি যদি শারীরিক আঘাতের কথা অগ্রাহ্য করে নিজেকে ওভাবে মাটির ওপর ফেলে দিতে পারেন, তাহলেই এটি সম্ভব। তিনি যে তা করেছিলেন, বিশ্ববাসী তা জানে। সত্যজিৎ রায় বলেন, দৃশ্যটি শুট করার পর চুনিবালা দেবীর মুখের অভিব্যক্তি তিনি কখনো ভোলেননি। সেই অভিব্যক্তিতে ছিল একদিকে সন্তুষ্টি; আরেক দিকে শারীরিক আঘাতের কষ্ট।
মৃত্যুর দৃশ্যের ব্যাক গ্রাউন্ডে বাজতে থাকে চুনিবালার দেবীর কণ্ঠে সেই ভক্তিমূলক গান:
হরি দিন তো গেল সন্ধ্যা হল
পার কর আমারে !
তুমি পারের কর্তা শুনে বার্তা
ডাকি হে তোমারে ।
হরি দিনতো গেল সন্ধ্যা হল
পার কর আমারে !
এরপর ইন্দির ঠাকরুনের শবদেহ খাটিয়ায় করে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্যটি শুট করা হয়। খাটিয়া নামানো হয়, কিন্তু চুনিবালা দেবী ওঠেন না। সত্যজিৎ রায় বলেন, ওই সময় তাঁর বুক ছ্যাঁৎ করে ওঠে। এর পরপরই চুনিবালা দেবী বলেন, ‘শেষ হলো, তা কেউ কিছু বলছে না কেন? আমি এখনো মরার মতো পড়ে আছি!’ এ কথা শুনে স্বস্তি পান সত্যজিৎ রায়। সত্যজিৎ রায়ের ভাষায়, চুনিবালা দেবীর অভিনয় ছিল অসাধারণ। কিন্তু ‘পথের পাঁচালী’র মুক্তির আগে কোমর ভেঙে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তিনি। বেশিদিন আর বেঁচেও ছিলেন না। সিনেমার আনুষ্ঠানিক মুক্তির আগেই অবশ্য চুনিদেবীকে আলাদা করে সিনেমাটি দেখিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায় নিজে; তা না হলে সিনেমাটি দেখাও হতো না তাঁর।
সত্যজিৎ রায়ের আক্ষেপ, চুনিবালা দেবীর সঙ্গে আর কোনো কাজ করতে পারেননি তিনি।
সূত্র: স্পিকিং অন ফিল্মস, সত্যজিৎ রায়, দ্য পেঙ্গুইন লাইব্রেরি ও চলচ্চিত্র সমাজ ও সত্যজিৎ রায়, অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়, প্রতিভাস প্রকাশনীযাহোক, মুশকিল আসান করে দেন রেবা দেবী, যিনি ‘পথের পাঁচালী’তে সেজ ঠাকরুনের চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনিই এই চরিত্রের জন্য চুনিবালার সন্ধান দেন, যাঁর মেয়ে নিভাননী দেবীও অভিনয় করতেন।