মিথিলার কাছে যে প্রশ্নটি ‘বোকা বোকা’ মনে হয়
গত ৩১ মার্চ পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্প অবলম্বনে সিনেমা ‘ও অভাগী’। এখনো বেশ কিছু জায়গায় চলছে ছবিটি। এটি নির্মাণ করেছেন অনির্বাণ চক্রবর্তী। কলকাতার এ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। এখন ছবির প্রচারে কলকাতায় আছেন এই অভিনেত্রী। সেখানকার গণমাধ্যম এই সময়কে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। এই সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে সিনেমাটি ছাড়াও অন্যান্য নানা প্রসঙ্গ।
ছবিটি ধরে প্রতিবেদকের করা এক প্রশ্নে মিথিলা জানান, ‘ও অভাগী’ ছবিটি তাঁর হৃদয়ের কাছাকাছি একটি ছবি। বলেন, ‘এই গল্পটি আমার ছোটবেলায় পাঠ্যসূচিতে ছিল। খুব পছন্দের একটা গল্প। সিনেমাতে এটি করার সুযোগ পেয়েছি, এটি আমার কাছে স্পেশাল ব্যাপার।’
শরৎচন্দ্রের ‘দেবদাস’ নিয়ে অনেক ছবি হয়েছে। কিন্তু ‘অভাগীর স্বর্গ’ নিয়ে এটিই প্রথম সিনেমা। পরিচালক আগে জানিয়েছেন, ছবিটিতে মিথিলা দারুণভাবে মানিয়ে গেছেন। এ প্রসঙ্গে মিথিলা বলেন, ‘মন থেকে কাজটি করলে এমনই হয়, যেকোনো চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া যায়। আমি এই ছবিতে সেভাবেই কাজটি করেছি। চরিত্রটি তুলে আনতে পেরেছি। দর্শক পছন্দ করছেন।’
কলকাতার আরও বেশি সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘সবাই জানে এটি আমার মূল পেশা নয়। আমার পূর্ণকালীন একটা পেশা আছে। নিজের কাজের জন্য আমার বিভিন্ন দেশে যেতে হয়, কাজ করতে হয়। সে জায়গা থেকে নিয়মিত কাজ করারও সুযোগ কম। তবে অভিনয়টা আমি ভালোবাসার জায়গা থেকে করি। সে ক্ষেত্রে ভালো কাজের সুযোগ হলে ভালো গল্প, চরিত্র এবং সেটি মন থেকে করার ইচ্ছা হলে করি।’
মিথিলা আরও বলেন, ‘আমি অনেক বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী নই। সংখ্যায় অনেক বেশি কাজ করতে হবে, ব্যাপারটি তেমন না। এখানে দুটো ছবি হলো, বাংলাদেশে কিছু ছবি করেছি, টেলিভিশনে লম্বা সময় কাজ করেছি। মনে হয় এ পর্যন্ত যা করেছি, করছি, আমার জন্য অনেক।’
দুই বাংলাতেই এমনটি হয় মিথিলার কাছে। সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে কাজ করা না করা নিয়ে প্রায় সময় একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তাঁর। সেই প্রশ্নের উত্তরে মিথিলা বলেন, ‘হ্যাঁ, প্রায়ই এমন প্রশ্ন আসে। তবে এটি আমার কাছে বোকা বোকা প্রশ্ন মনে হয়। কারণ, এটি তো পরিচালক সিদ্ধান্ত নেন, আর্টিস্ট সিদ্ধান্ত নেন না যে কোন ছবিতে কে থাকবে। এ কারণে প্রশ্নটি আমার কাছে বোকা বোকা লাগে।’
এ মুহূর্তে বাংলাদেশের অনেক শিল্পী কলকাতার সিনেমায় কাজ করছেন। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে মিথিলা বলেন, ‘আগেও তো হয়েছে। ছোটবেলা থেকেই দেখছি দুই বাংলার শিল্পীরা ওপার বাংলা ওপার বাংলা মিলে কাজ করছেন। ধারাটা এখনো অব্যাহত আছে। বিশেষ করে ওটিটির কারণে এখন মনে হয় কাঁটাতারের বেড়াটা উঠে গেছে। সেটি তো ভালো। ওপার বাংলার শিল্পী ও দর্শকেরা খুব চান এপার বাংলার কাজ দেখতে। এখন ওটিটির কারণে ওপার বাংলার কাজও দেখতে চান এখানকার দর্শকেরা।’