খল অভিনেতাদের বিপত্তির শেষ নেই, পর্দার খল চরিত্রের সঙ্গে তারকাদের ব্যক্তিগত জীবনকে গুলিয়ে ফেলেন দর্শকেরা। সিনেমার কোনো কোনো খল চরিত্র দর্শকদের হৃদয়ে এতটাই দাগ কাটে যে সেই চরিত্র থেকে বের হতে পারেন না দর্শকেরা। সিনেমা হলে বসে দর্শকেরা খল অভিনেতাদের গালাগালি করেন, সরাসরি দেখা হলে উত্ত্যক্ত করতেও ছাড়েন না। খল অভিনেতা সাদেক বাচ্চুর জীবনেও তেমনই এক ঘটনা ঘটেছিল সত্তরের দশকে।
সিরিয়ালে রাজাকারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সাদেক বাচ্চু। দর্শকমহলে তুমুল আলোচিত নাটকের এক দৃশ্যে একজনকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেন সাদেক বাচ্চু। সেই পর্ব প্রচারের পরদিন বোনকে আনতে ট্রেনে জামালপুর গিয়েছিলেন তিনি। স্টেশনে তাঁকে দেখে দর্শকেরা বাদামের খোসা ছুড়ে মারেন, কেউবা আবার পাথর ছুড়তে থাকেন। সেই যাত্রায় কোনোমতে সেখান থেকে আসতে পেরেছিলেন তিনি।
পরবর্তী সময়ে ‘রামের সুমতি’ চলচ্চিত্রে পার্শ্বনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে চলচ্চিত্রে তাঁর অভিষেক ঘটে। এরপর ‘চাঁদনী’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হন সাদেক বাচ্চু।
বাংলাদেশ টেলিভিশনে জিয়া আনসারীর প্রযোজনায় ‘জোনাকি জ্বলে’ নামে এক
২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। আজ তাঁর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। সাদেক বাচ্চু নামে পরিচিত হলেও তাঁর আসল নাম মাহবুব আহমেদ, ডাক বিভাগে চাকরি করতেন। জন্ম চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে।
সাদেক বাচ্চুর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার’, ‘জীবন নদীর তীরে’, ‘জোর করে ভালোবাসা হয় না’, ‘তোমার মাঝে আমি’, ‘ঢাকা টু বোম্বে’, ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’, ‘এক জবান’, ‘আমার স্বপ্ন আমার সংসার’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’, ‘বধূবরণ’, ‘ময়দান’, ‘আমার প্রাণের স্বামী’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘প্রিয়জন’, ‘সুজন সখী’ প্রভৃতি।