রেশন দুর্নীতি মামলায় ঋতুপর্ণাকে জিজ্ঞাসাবাদ

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এক্স থেকে

পশ্চিমবঙ্গের চাঞ্চল্যকর রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের ডাকে সাড়া দিয়ে আজ সল্টলেকের ইডির দপ্তরে হাজির হন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আগেই অবশ্য ইডির চাওয়া বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে ইডি দপ্তরে হাজির হন তাঁর হিসাবরক্ষক। বেলা ১টা নাগাদ ঋতুপর্ণা সরাসরি চলে যান ইডির দপ্তরে।

আরও পড়ুন

এর আগে ৫ জুন রেশন দুর্নীতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় ঋতুপর্ণাকে। তখন তিনি বিদেশে থাকায় হাজির হতে পারেননি। আজ হাজির হলেন। ইডির অভিযোগ, রেশন দুর্নীতি মামলায় আর্থিক লেনদেনে তিনি সুবিধা ভোগ করেছিলেন।

সেই সব কারণ ও অন্যান্য প্রশ্নের জবাব পাওয়ার জন্য আজ ইডি তাঁকে তলব করলে ঋতুপর্ণা হাজির হন। ঋতুপর্ণাকে এর আগে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে বেআইনি অর্থলগ্নিকারী সংস্থা রোজভ্যালির মামলায়ও ডাকা হয়েছিল।

ঋতুপর্ণা
ইনস্টাগ্রাম থেকে

ইতিমধ্যে এই চাঞ্চল্যকর রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। ইডির অভিযোগ, বাকিবুর সিনেমায় লগ্নি করেছিলেন। এমনই একটি সিনেমায় অভিনয় করার জন্য ঋতুপর্ণা কয়েক লাখ রুপি অগ্রিম নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সিনেমায় কাজ করেননি ঋতুপর্ণা। কিন্তু রেশন দুর্নীতির টাকা ঋতুপর্ণা ফেরত দিয়েছিলেন কি না, এসব বিষয় জানতে ঋতুপর্ণাকে তলব করেছে ইডি।

আরও জানা গেছে, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও ব্যবসায়ী বাকিবুরের উদ্যোগে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল ঋতুপর্ণার সংস্থা। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় ও ব্যবসায়ী বাকিবুরের অ্যাকাউন্ট থেকে ঋতুপর্ণার সংস্থায় টাকা দেওয়ার নথি পেয়েছে ইডি।

এদিকে এই ঘটনা ও ঋতুপর্ণাকে তলব করার ঘটনাকে মেনে নিতে পারেননি সংসদ সদস্য ও অভিনেতা দেব। তিনি বলেন, ‘এভাবে ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না।’ অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘মাথাকে না ধরে হাত–পা ধরে টানলে কোনো কাজ হবে না। আগে মাথাকে গ্রেপ্তার করা হোক।’
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঋতুপর্ণাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল।