সাহস থাকলে সামনে এসে বলুন, বললেন জয়া
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আসার পর তারকা ও ভক্তদের যোগাযোগ অনেক সহজ হয়ে গেছে। তারকারা যেমন খুব সহজে নিজের সিনেমার প্রচার করতে পারছেন, নানা বিষয়ে ভক্তদের কৌতূহল মেটাতে পারছেন, তেমনই ভক্তরাও পর্দার বাইরে তারকাদের জীবন সম্পর্কে জানতে পারছেন। তবে কয়েক বছর ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অনেক তারকার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারে হরহামেশাই অনেক তারকাকে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ ও নেতিবাচক মন্তব্য করেন অনুসারীরা। গত কয়েক বছরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের কারণে মানসিক অবসাদে ভোগা তারকার সংখ্যাও কম নয়। বিদ্রূপ থেকে দূরে থাকতে সেলেনা গোমেজ, হেইলি বিবারসহ অনেকেই টুইটার বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে রেখেছিলেন। অনেক তারকা আবার তাঁদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্যের সুযোগ বন্ধ বা সীমিত করে রাখেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্রূপের শিকার হন বাংলাদেশি তারকারাও। তাঁদের মধ্যে আছেন অভিনেত্রী জয়া আহসানও। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে তাঁর নতুন সিনেমা ‘ঝরা পালক’-এর প্রচারে হাজির হয়েছিলেন এই বাংলাদেশি অভিনেত্রী। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ নিয়ে। উত্তরে বিষয়টি নিয়ে নিজের ক্ষোভের কথা জানান জয়া। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
জয়া বলেন, ‘আমি বাজে মন্তব্যগুলো নিয়ে এখন আর বেশি ভাবি না। এটা আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। যে কেউ এখন অন্য কাউকে নিয়ে যা খুশি বলতে পারেন। কিন্তু মুখোমুখি বলতে অনেক সাহস লাগে। সবার এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার ক্ষমতা নেই। তাঁদের বলতে চাই, যদি সাহস থাকে তো এসব আমার সামনে এসে বলুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে কেন বিষিয়ে তুলছেন? আমার কাছে এসবের কোনো গুরুত্ব নেই। কারণ, আপনি নিজেকে লুকিয়ে আমার সম্পর্কে মন্তব্য করছেন।’
এবারই প্রথম নয়, এর আগেও বিভিন্ন সময় বডি শেমিং, অনলাইনে বিদ্রূপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অভিনয়শিল্পীরা। এদিকে জয়া আহসান অভিনীত বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘ঝরা পালক’ পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ২৪ জুন। কবি জীবনানন্দ দাশের জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমায় জয়া করেছেন কবির স্ত্রী লাবণ্য প্রভা দাশের চরিত্র। এই ছবিতে নিজের অভিনীত চরিত্র সম্পর্কে জয়া জানান, ছবিতে লাবণ্য চরিত্রটি নানা ধরনের জটিলতার মধ্য দিয়ে যায়। লাবণ্যই জীবনানন্দকে তাঁর লক্ষ্য অর্জনে সাহস জোগান। কবির প্রতি তাঁর শর্তহীন ভালোবাসা পুরো সিনেমাতেই দৃশ্যমান হবে।
সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবিটিতে জীবনানন্দের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ব্রাত্য বসু।