১৩ বছর পর নিশিতার দ্বিতীয় অডিশন
‘ক্লোজআপ ওয়ান’ আয়োজনে জীবনের প্রথম অডিশন দিয়েছিলেন নিশিতা বড়ুয়া। ১৩ বছর আগের সে দিনগুলোই যেন আবার ফিরে এল। দ্বিতীয়বারের মতো আবার অডিশনের মুখোমুখি হলেন এই গায়িকা। কিন্তু ১৩ বছর পর আবার কেন অডিশন।
এই গায়িকা বলেন, ‘কর্মব্যস্ততার কারণে বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হওয়া হয়ে ওঠে হয়নি। ১৩ বছর আগেই এখানে অডিশন দিতে পারতাম। বেতারে তালিকাভুক্ত হওয়া মানে জাতীয় শিল্পী হওয়া। একজন জাতীয় শিল্পীর স্বীকৃতি পেতে ১৩ বছর সময় নিয়েছি। এটা একদমই নিজের খামখেয়ালি ছাড়া আর কিছু নয়। কোভিডের কারণে ঘরে বসে থাকায় এখন আমার রিয়েলাইজেশন হয়েছে। কিন্তু অডিশনের সময় বারবার মনে হয়েছে, ব্যস্ততার পাশাপাশি বেতারকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা উচিত ছিল। আগের সিদ্ধান্ত আমার ভুল ছিল।’
২০০৬ সালে ক্লোজআপ ওয়ানের অডিশনে নিশিতা গিয়েছিলেন ভয়ে ভয়ে। শেষ পর্যন্ত সেই আয়োজনের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় রানারআপ হন। ক্লোজআপ ওয়ানে আসার সময় কি ভেবেছিলেন জয়ী হবেন? ‘আমি তো আপনাআপনিই জয়ী হয়েছি। তখন তো আর এত কিছু ভেবে আসিনি যে সেরাদের মধ্যে থাকতে পারব। আমার তেমন কনফিডেন্স ছিল না। আমি শুধু স্বপ্ন দেখে অডিশন দিয়েছিলাম।’ বেতার অডিশনে আবার সেই আগের মতো টান টান উত্তেজনা। সেই ভয় ভয় ভাব। নিশিতা বলেন, ‘একদম সেই ক্লোজআপ ওয়ানের অডিশনের মতোই অনুভূতির মধ্য দিয়ে গিয়েছি। এখনো বিচারকদের সামনে দাঁড়ালে কনফিডেন্স কমে যায়। পা কাঁপে। গান শুনে তাঁরা কী বলবেন—এসব মিলিয়ে উত্তেজনা, চিন্তা কাজ করছিল। আমার জন্য এটা অন্য রকম এক ভালো লাগা।’ নিশিতার গান শুনে বিচারকেরা অবশ্য পছন্দই করেছেন। বেতারে তালিকাভুক্ত হতে পেরেছেন। এ জন্য তিনি বিচারকদের ধন্যবাদ জানান।
এখন নতুন গান নিয়েই ব্যস্ত নিশিতা। সম্প্রতি তাঁর তিনটি গান প্রকাশ পেয়েছে। শিগগির আরও দুটি গান প্রকাশ পাবে। সংসার ও গান সমানতালে সামলাচ্ছেন নিশিতা। তিনি বলেন, ‘বিয়ের পরে তেমন কোনো পরিবর্তন আমার মধ্যে আসেনি। এখন কাজের সঙ্গে যোগ হয়েছে সংসার। গান নিয়ে আমার শ্বশুরবাড়ির সবাই খুব উৎসাহ দেন।’