সম্মাননা পাচ্ছেন রফিকুল আলম ও ফকির আলমগীর
আধুনিক বাংলা গানে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত হচ্ছেন রফিকুল আলম। একই আসরে গণসংগীতে অবদানের জন্য সম্মানিত হবেন ফকির আলমগীর। প্রথম আলোকে আজ বুধবার দুপুরে এমনটাই নিশ্চিত করেছেন চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড আয়োজনের প্রকল্প প্রধান ইজাজ খান স্বপন।
দেশের সংগীতশিল্পীদের নিয়ে ঢাকার অদূরে হবিগঞ্জের দ্য প্যালেস রিসোর্টে কাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বসবে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের ১৪তম আসর। দীর্ঘ সংগীতজীবনে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এমন সম্মাননা পেয়ে ভীষণ আনন্দিত রফিকুল আলম ও ফকির আলমগীর।
বুধবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে রফিকুল আলম বলেন, ‘সংগীতজীবনে পুরস্কার আমি খুব একটা পাইনি। বাণিজ্যিক ছবিতে গাওয়ার জন্য একবার বাচসাস পুরস্কার পেয়েছিলাম। এটা তো আমার সমগ্র সংগীতজীবনের মূল্যায়নের জন্য স্বীকৃতি। সংগীতজীবনে আমি ভালো সময় কাটিয়েছি, অনেক ত্যাগস্বীকার করেছি, অনেক গুণীজনের কাছ থেকে শিক্ষাদীক্ষাও পেয়েছি। এসব বিবেচনায় স্বীকৃতি আমার কাছে এই অর্জন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
কী সেই কারণ, জানতে চাইলে রফিকুল আলম বলেন, ‘এই পুরস্কারের ক্ষেত্রে আমার সামগ্রিক সংগীতজীবনের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। তাই এটা আমার কাছে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। সংগীতের আমার যৎসামান্য ভূমিকাই আছে, চ্যানেল আই তা অন্য সবার চেয়ে বেশি জানে। মর্যাদা আর সম্মানটাও সব সময় পাই। আধুনিক গানের সঙ্গে যেহেতু আমার চিরকালের সম্পর্ক, তাই এই স্বীকৃতিটা অনেক মর্যাদাপূর্ণ, অনেক বড় আনন্দের।’
ফকির আলমগীর বলেন, ‘পুরস্কার আনন্দের, অনুপ্রেরণার, পুরস্কার আমাকে আরও নিবেদিত করে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে আমার ৭০ বছর পূর্তি হবে। গণসংগীতের জন্য এর আগে আরও অনেক সম্মাননা পেয়েছি। রাষ্ট্রিয় স্বীকৃতির বাইরে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড ও মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার—দুটিরই শিল্পীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে এবং মর্যাদারও। এ দুটি সম্মাননা শিল্পীদের অনুপ্রাণিত করে। গণসংগীতকে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড যে স্বীকৃতি দিয়েছে, তা আমার একার নয়, আজীবন যাঁরা গণসংগীত করে আসছেন, এখন যাঁরা করছে—তাঁদের সবার পুরস্কার। আমি তাঁদের সবাইকে উৎসর্গ করছি।’
সিলেটে অনুষ্ঠানস্থল থেকে ইজাজ খান স্বপন বলেন, ‘সংগীতাঙ্গনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই শতাধিক শিল্পী ও কলাকুশলী আমাদের আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন। এ আয়োজনে মোট ১৪টি বিভাগে সমালোচক পুরস্কার প্রদান করা হবে। জানা গেছে, চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে প্রতিবারের মতো এবারও থাকবে বিশেষ চমক। ২০০৪ সালে শুরু হয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় আয়োজন ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’।
অনুষ্ঠান–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, যে বিভাগগুলোতে সম্মাননা দেওয়া হবে, সেগুলো হলো শ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রসংগীত, শ্রেষ্ঠ নজরুলসংগীত, শ্রেষ্ঠ লোকসংগীত, শ্রেষ্ঠ গীতিকার, শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক, শ্রেষ্ঠ মিউজিক ভিডিও, শ্রেষ্ঠ কাভার ডিজাইন, শ্রেষ্ঠ সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার, আধুনিক গানে শ্রেষ্ঠ শিল্পী, শ্রেষ্ঠ ব্যান্ড, শ্রেষ্ঠ নবাগত শিল্পী, শ্রেষ্ঠ ছায়াছবির গান, শ্রেষ্ঠ উচ্চাঙ্গসংগীত কণ্ঠ, শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও শ্রেষ্ঠ উচ্চাঙ্গসংগীত যন্ত্র। চ্যানেল আই মিজিউক অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করবেন শাহরিয়ার নাজিম জয়।