‘সংসার করতে সবচেয়ে বেশি লাগে টলারেন্স’

ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে একটি পোস্টে চোখ আটকে গেল। বরেণ্য সংগীতশিল্পী ফেরদৌসী রহমানের দেওয়া সেই পোস্টে লেখা, ‘২৬ অক্টোবর ১৯৬৬। ফিফটি ফাইভ ইয়ারস অব টুগেদারনেস...’।

১৯৬৬ সালের ২৬ অক্টোবর হোটেল শাহবাগে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে) প্রকৌশলী রেজাউর রহমানের সঙ্গে সংগীতশিল্পী ফেরদৌসী রহমানের বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়
ছবি : ফেরদৌসী রহমানের সৌজন্যে


দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের রহস্য কী, জানতে চেয়েছিলাম শিল্পী ফেরদৌসী রহমানের কাছে।

ঢাকার বনানীর বাসা থেকে টেলিফোনে তিনি জানালেন, আজকালকার দিনে এটা সত্যিই কঠিন। ফেরদৌসী রহমান বললেন, ‘একটা সংসারে আপস অ্যান্ড ডাউনস তো থাকেই। একটু পরিণত বয়সেই আমার বিয়ে হয়েছে। যদিও আমি বিয়ে নিয়ে অতটা ভাবতাম না। বিয়ে হলো, দিন চলছে খারাপ–ভালো সব রকম অভিজ্ঞতা নিয়েই। সংসার করতে হলে দুজনের মধ্যে একটু বোঝাপড়া লাগে।

প্রকৌশলী স্বামী রেজাউর রহমানের সঙ্গে সংগীতশিল্পী ফেরদৌসী রহমান
ছবি : ফেরদৌসী রহমানের সৌজন্যে

সবচেয়ে বেশি লাগে আমার মনে হয় টলারেন্স। আমার অভিজ্ঞতায় বলে, সহ্যশক্তি একটু বেশিই লাগে। আমার তো মনে হয় যে সংসারে অনেক সময় অনেক কিছুই অসহ্য মনে হয়। সহ্য করতে না পারলে যা হওয়ার তাই হয়। সংসার, ইট ক্যান বি লং, ইট ক্যান বি শর্ট রেস। দোষ–গুণ সবকিছু টলারেন্স দিয়ে মোকাবিলা করতে পারলে ভালো। ধুর, এসব সহ্য করা যাবে না যদি হয়, তাহলে ইটস শর্ট।’

১৯৬৬ সালের ২৬ অক্টোবর হোটেল শাহবাগে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে)  প্রকৌশলী রেজাউর রহমানের সঙ্গে ফেরদৌসী রহমানের বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তাঁদের দুই ছেলে।

১৯৬৬ সালের ২৬ অক্টোবর হোটেল শাহবাগে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে) প্রকৌশলী রেজাউর রহমানের সঙ্গে সংগীতশিল্পী ফেরদৌসী রহমানের বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়
ছবি : ফেরদৌসী রহমানের সৌজন্যে

শিল্পী জানালেন, ‘বড় ছেলে রুবাইয়াত রহমান যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে থাকে, ফেসবুকে চাকরি করে। আর ছোট ছেলে রাজিন রহমান, লন্ডনে থাকে। সে–ও ওখানকার একটা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। আমার স্বামী রেজাউর রহমান এখন অবসরজীবন যাপন করছে। ও ছিল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। ওর একটা ইন্ডাস্ট্রি ছিল, ফিল্টার তৈরির। দেশের একমাত্র ফিল্টার তৈরির প্রতিষ্ঠান। ছেলেরাও বাইরে চলে গেল, ফ্যাক্টরিও বিক্রি করে দিল।’