শুনতে পারেন গত দশকের সেরা ১০ গান
২০১০ থেকে ২০১৯ সাল—এই এক দশকে যুক্তরাজ্যে কোন গানগুলো সবচেয়ে বেশি বেজেছে শ্রোতাদের প্লে লিস্টে—রেডিও টু, ইউকে টিভি ও বিভিন্ন মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে বিবিসি। সেখান থেকে সবচেয়ে বেশি শোনা ১০ গান নিয়ে এই আয়োজন। করোনার দিনে ঘরে বসে আপনিও শুনতে পারেন এই গানগুলো।
১. হ্যাপি—ফ্যারেল ইলিয়মসন এই গান গেয়েছেন ‘ডেসপিকেবল মি’ সিনেমার জন্য। আর এটিই ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া গান, সবচেয়ে বেশি শোনা গান। যুক্তরাজ্যে রেডিও টুতে সবচেয়ে বেশিবার বাজানো গানও এটি। বিশেষজ্ঞরা এই গানের অভাবনীয় সাফল্যের কারণ দেখাতে গিয়ে বলেছেন, এই গান সত্যি সত্যিই মানুষকে সুখী করতে পেরেছে।
২. রোলিং ইন দ্য ডিপ—অ্যাডেলের গাওয়া এই গান তাঁকে দ্বিতীয়বারের মতো ব্রিট পুরস্কার এনে দেয়, এনে দেয় তিন-তিনটা গ্র্যামি। পান বছরের সেরা মিউজিক ভিডিওর তকমা।
৩. মুভস লাইক জ্যাগার—২০১০ সালে মেরুন ফাইভের এই গান নানা রেকর্ড ভেঙে রীতিমতো ইতিহাস সৃষ্টি করে। আর ২০১৯ সালে রোলিং স্টোন ব্যান্ডের স্যার মাইক জ্যাগার তাঁর হার্টের অপারেশনের পর বাড়ি ফিরে এই গানে নেচে ভিডিও দিয়ে দীর্ঘদিন পর জনসমক্ষে আসেন। আর প্রমাণ করেন, তিনি এখনো তাঁর ‘সিগনেচার স্টেপে’ নাচতে ভোলেননি।
৪. গেট লাকি—ডাফট পাঙ্কের এই গান ২০১৩ সালে বিশ্বের ৩২টি দেশের টপ চার্টে স্থান করে নেয়। টানা ৬৯ দিন এটি যুক্তরাজ্যের টপ চার্টে থেকে রেকর্ড করে।
৫. কান্ট স্টপ দ্য ফিলিং—হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, জাস্টিন টিম্বারলেকের গাওয়া। ২০১৬ সালে অ্যানিমেশন ছবি ‘ট্রলস’ সিনেমায় ব্যবহৃত হয় গানটি। জয় করে নেয় ভিজ্যুয়াল মিডিয়ার জন্য বানানো সেরা গানের গ্র্যামি।
৬. আই গট্টা ফিলিং—মার্কিন গান ও নাচের দল ‘ব্ল্যাক আইড পিয়ার্স’–এর এই গান ইউটিউবে দেখা হয়েছে ৪৪ কোটিবারের বেশি।
৭. আপটাউন ফাঙ্ক—মার্ক রনসনের গাওয়া এই গান শেষ দশকের সবচেয়ে বেশি বিক্রীত গানের তালিকায় দ্বিতীয় হয়েছে। ইউটিউবে দেখা হয়েছে ৩৮ কোটিবারের বেশি। ব্রিটিশ-মার্কিন এই গায়ককে গানটি এনে দিয়েছে ব্রিট অ্যাওয়ার্ড।
৮. কাউন্টিং স্টারস—২০১৩ সালে মুক্তির পর মার্কিন পপ রক ব্যান্ড ওয়ান রিপাবলিকের এই গান রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দেয়। ছয় বছরে ইউটিউবে এই গান দেখা হয়েছে ২৯ কোটিবার।
৯. ফরগেট ইউ—মার্কিন গায়ক সিলো গ্রিনের গাওয়া এটিও একটি গ্র্যামিজয়ী গান।
১০. সেক্স অন দ্য ফায়ার—কিংস অব লিওনের এই গান গত ১০ বছরে কেবল ইউটিউবে দেখা হয়েছে ৩৪ কোটি ৮০ লাখবার। দীর্ঘদিন এই গান যুক্তরাজ্যে শীর্ষে ছিল। এ গান দিয়েই এই ব্যান্ড জিতেছে তাদের প্রথম গ্র্যামি।