মমতাজের জীবনের সেরা সময়
পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঢাকার মহাখালী ডিওএইচএসের বাড়িতেই থাকেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মমতাজ। প্রথম জীবনের একটা বড় সময় কেটেছে গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে। ঢাকার কর্মব্যস্ত দিন শেষে সময়–সুযোগ মিললেই ছোটেন গ্রামের বাড়িতে। নিজের মতো করে কয়েকটা দিন সেখানে কাটিয়ে আসেন। জন্মস্থানের সাংসদ হওয়ার কারণে সেখানকার মানুষদের খোঁজখবর নিতেও তাঁকে যাওয়া-আসার মধ্যে থাকতে হয়। এবার গ্রামে গিয়ে জীবনের সেরা সময় কাটিয়ে এসেছেন বলে জানালেন মমতাজ।
সিঙ্গাইরের গোলাইডাঙ্গা গ্রামে তাসলিমা জালাল মঞ্চবাড়িতে সম্প্রতি জীবনের সেরা সেই সময় কাটিয়ে এসেছেন মমতাজ। ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত আটটার কিছু সময় পর সেখানে আমন্ত্রিত হয়ে যান তিনি ।
সেখানে তিনি প্রায় ৪ ঘন্টা ছিলেন। ফিরে আসেন যখন, তখন রাত ১২টা পেরিয়ে গেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনন জামানের আমন্ত্রণে সেখানে তাঁর যাওয়া।
মমতাজ সেখানে কাটানো সময়ে তাঁর ভালো লাগার অনুভূতি ফেসবুকেও প্রকাশ করেছেন। প্রথম আলোকে গতকাল সোমবার এই সংগীতশিল্পী ও সাংসদ বললেন, ‘তিন ঘণ্টার বেশি কাটানো সেই সময়ে কোথায় যেন হারিয়ে গেছি আমি। ওই সময়কার অনুভূতি শুধু হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করা যায়।’
ফেসবুকে পোস্ট করা কিছু স্থিরচিত্রে দেখা যায়, মমতাজকে কেউ পালকির আদলে তৈরি একটি বাহনে করে কাঁধে চড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এরপর ঘুরন্তম নামের একটি বাহনে বসিয়ে তাঁকে ঘোরানো হচ্ছে, আর চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকা সবাই ছিটাচ্ছেন ফুল। অন্য কোনো স্থিরচিত্রে তাসলিমা জালাল মঞ্চবাড়ির মাঝখানে বসে আছেন মমতাজ, তাঁকে ঘিরে নাচছেন কেউ। জাদু গায়েন গাইছিলেন বাউল গান। মমতাজ বললেন, ‘সত্যিই সত্যিই অন্য রকম মুহূর্ত। ওই সময়টা কোন জগতে ছিলাম, বুঝতেই পারিনি।’
মমতাজ বললেন, ‘আমি গ্রামের মানুষ, শহরে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে, তাই সুযোগ পেলেই ছুটে আসি গ্রামে। গ্রামের মানুষের সহজ–সরল ভালোবাসা আমাকে পাগল করে দেয়। গ্রামীণ সব ঐতিহ্য আমাকে মুগ্ধ করে সব সময়। মনে হয় এটাই আমি আমার অস্তিত্ব। সব সময়ই ভালো লাগে, তবে এবার একটু বেশি ভালো সময় কেটেছে আমার।’