ভূপেন হাজারিকার বাড়িকে 'হেরিটেজ' ঘোষণা
ভারতের প্রখ্যাত সংগীতব্যক্তিত্ব ভূপেন হাজারিকার দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জের ৭৭/বি গলফ ক্লাব রোডের তিনতলা বাড়িটি ‘হেরিটেজ বাড়ি’র তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি কলকাতা পৌর করপোরেশনের মেয়র পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন কলকাতায় ‘হেরিটেজ বাড়ি’র সংখ্যা ১ হাজার ২০০টি।
জানা গেছে, ভূপেন হাজারিকা এই বাড়িতে ১৯৫৬ সাল থেকে বসবাস শুরু করেন। একসময় এই বাড়িতে ভারতের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী, অভিনয়শিল্পী, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব আর পরিচালকদের যাতায়াত ছিল। এই বাড়িতে এখনো আছে তাঁর ব্যবহার করা অনেক কিছু।
ভূপেন হাজারিকার জন্ম আসামের সাদিয়ায়, ১৯২৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। মারা যান ৮৫ বছর বয়সে, ২০১১ সালের ৫ নভেম্বর, মুম্বাইর কোকিলাবেন হাসপাতালে। ভূপেন হাজারিকা আসামের মানুষ হলেও তিনি ছিলেন বাঙালিদের ভালোবাসার শিল্পী। তিনি প্রচুর বাংলা গান গেয়েছেন। আসামি, বাংলা, হিন্দিসহ বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছেন। চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও অনেক গান গেয়েছেন। সেদিন তাঁর সেসব গান শুনে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। বাংলাদেশ সরকার ২০১১ সালে তাঁকে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ দিয়েছে। পেয়েছেন (মরণোত্তর) সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘ভারত রত্ন’।
এ ছাড়া ১৯৯২ সালে তিনি চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘দাদাসাহেব ফালকে পদক’ পেয়েছেন। ২০০৯ সালে পেয়েছেন আসাম রত্ন’ পদক, ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘পদ্মশ্রী’, ২০০১ সালে ‘পদ্মভূষণ’ আর ‘পদ্মবিভূষণ’ পেয়েছেন ২০১২ সালে। আরও পেয়েছেন সংগীত, নাটক একাডেমি পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা।