ব্যাংককে নেওয়া হলো আলাউদ্দীন আলীকে
দেশের বরেণ্য গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও বাদ্যযন্ত্রশিল্পী আলাউদ্দীন আলীর শরীরে আবার ক্যানসার ধরা পড়েছে। তিনি এখন আছেন ব্যাংককের স্যামিটিভেজ সুকুমভিত হাসপাতালে। উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ রোববার সকালে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তাঁর সঙ্গে আছেন স্ত্রী ফারজানা মিমি আর ছোট মেয়ে আদ্রিতা আলাউদ্দীন রাজকন্যা।
আলাউদ্দীন আলীর মেয়ে সংগীতশিল্পী আলিফ আলাউদ্দীন আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এরই মধ্যে আব্বু সেখানে পৌঁছে গেছেন। আজই আব্বুর কিছু পরীক্ষা হবে। প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর সেখানে চিকিৎসকেরা আব্বুর চিকিৎসার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’
এর আগে গত ৩ অক্টোবর আলিফ আলাউদ্দীন বলেছেন, ‘প্লিজ, আব্বুর জন্য সবাই দোয়া করুন। ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য আব্বু থাইল্যান্ড যাচ্ছেন। এতটা জার্নি করার মতো অবস্থা আব্বুর নেই। তারপরও উন্নত চিকিৎসার জন্য আব্বু সেখানে যাচ্ছেন।’
গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রয়োজনীয় পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আলাউদ্দীন আলীর ফুসফুসে নতুন করে টিউমারের অস্তিত্ব দেখা গেছে। পাশাপাশি তাঁর যকৃতেও টিউমার পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমেই অবনতি হচ্ছে।
আলাউদ্দীন আলী গত ২২ জানুয়ারি রাতে বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তাঁর খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারছিলেন না। পাশাপাশি তাঁর উচ্চমাত্রায় জ্বর ছিল। কাশি হচ্ছিল। সবকিছু মিলিয়ে অবস্থা জটিল আকার ধারণ করে। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের আইসিইউতে তাঁকে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে ২৫ জানুয়ারি সকালে তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। ৭৭ দিন চিকিৎসার পর তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়। গত ৮ এপ্রিল তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। এরপর তাঁকে ফিজিওথেরাপি নেওয়ার জন্য মিরপুরে সিআরপিতে ভর্তি করা হয়।
এর আগে ২০১৫ সালের ৩ জুলাই আলাউদ্দীন আলীকে ব্যাংকক নেওয়া হয়েছিল। সেখানে পরীক্ষার পর জানা যায়, তাঁর ফুসফুসে একটি টিউমার রয়েছে। তখন আলাউদ্দীন আলী প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, টিউমারটি হৃদ্যন্ত্রের কাছাকাছি হওয়ায় এর অস্ত্রোপচার বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তবে বিকল্প হিসেবে রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা হয়। এরপর এখন পর্যন্ত তাঁর অন্যান্য শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি ক্যানসারের চিকিৎসাও চলছিল।