‘বাংলার গায়েন’ চ্যাম্পিয়ন রাজশাহীর রাসেল
‘বাংলার গায়েন’ রিয়্যালিটি শোর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন রাজশাহীর রাসেল মৃধা। প্রথম রানারআপ নরসিংদীর রাবেয়া এবং দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন টাঙ্গাইলের বিলকিস আক্তার। করোনাকালে ঘরবন্দী সময়ে বাংলার মাটির সুরকে তুলে ধরতে লোকগান প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি।
গত বছরের ১১ জুন ফেসবুক লাইভে দেশের বেশ কয়েকজন সংগীতশিল্পী ও সংগীত পরিচালকের অংশগ্রহণে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় রিয়্যালিটি শো বেঙ্গল সিমেন্ট নিবেদিত ‘বাংলার গায়েন’-এর। ছয় মাসে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিযোগিতা শেষে গতকাল মঙ্গলবার রাতে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা হয়।
গতকাল আরটিভিতে প্রচারিত হয় গ্র্যান্ড ফিনালের জমকালো আয়োজন। বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘এ প্রতিযোগিতা করোনার সময়ে এমনভাবে সবাইকে নিরাপদে রেখে আয়োজিত হলো, যা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।’
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আরটিভির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান বলেন, ‘মানুষ ঘর থেকে বের হতে না পারার কারণে বিষণ্ন হয়ে পড়েছিল। আমরা তাদের এবং কণ্ঠশিল্পীদের এক বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য এই প্রতিযোগিতার সূচনা করেছিলাম। আজ এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে উঠে আসা শিল্পীদের সারা বিশ্বের বাংলাভাষী মানুষ চেনে। তাদের গান শোনে।’
‘বাংলার গায়েন’ আয়োজনে প্রতিযোগী হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি দেশের বাইরে থেকেও বাংলাভাষী মানুষ অংশ নেন। প্রাথমিক বাছাইয়ে দুই লাখের বেশি আবেদন থেকে ১ হাজার ৪৫১ জনকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য নির্বাচিত করা হয়। এই প্রতিযোগীদের গানগুলো বিচারকদের ‘ইয়েস-নো’ কার্ডের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে প্রাথমিক বাছাইয়ের জন্য ৩০০ জন প্রতিযোগীকে নির্বাচন করা হয়েছে।
৩০০ জন প্রতিযোগীর কাছ থেকে পুনরায় অনলাইনে ভিডিও আহ্বান করা হয় এবং সেখান থেকে সেরা ১০০ জন নির্বাচিত হন। সেরা ১০০ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে শুরু হয় ‘বাংলার গায়েন’-এর স্টুডিও রাউন্ড। পরবর্তীকালে ১০০ থেকে ৫০, ৫০ থেকে ৩০—এভাবেই ধাপে ধাপে গ্র্যান্ড ফিনালের দিকে এগিয়ে যায় ‘বাংলার গায়েন’ প্রতিযোগিতা। পুরো আয়োজনে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সংগীতশিল্পী এস আই টুটুল, শওকত আলী ইমন ও ইবরার টিপু।
মৌলিক গানের পর্বে ‘বাংলার গায়েন’-এর তিন বিচারক দেশবরেণ্য গীতিকারের লেখা গান নিজেরা কম্পোজিশন করে তৈরি করেন প্রতিযোগীদের গাওয়ার জন্য। সেরা সাতজন প্রতিযোগী উত্তীর্ণ হন গ্র্যান্ড ফিনালের গালা রাউন্ডের জন্য। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার এই পর্বে সাত ফাইনালিস্টের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন দেশের তরুণ প্রজন্মের সাত সংগীতশিল্পী পারভেজ সাজ্জাদ, ঐশী, সন্দীপন, লায়লা, রাজীব, পুলক ও সাব্বির।
শওকত আলী ইমন, এস আই টুটুল ও ইবরার টিপুর সঙ্গে সালমা ও লিজার কণ্ঠে ‘বাংলার গায়েন’-এর থিম সং পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় গ্র্যান্ড ফিনালের জমকালো আয়োজন। ফলাফল ঘোষণার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।